রবিবার , নভেম্বর ১৭ ২০২৪
নীড় পাতা / জাতীয় / নিবন্ধন চাওয়া ১২ দলের মাঠের তথ্য যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত

নিবন্ধন চাওয়া ১২ দলের মাঠের তথ্য যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন চাওয়া ১২ রাজনৈতিক দলের মাঠপর্যায়ের কার্যালয় ও দলীয় কার্যক্রম যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির মঙ্গলবার এক অনানুষ্ঠানিক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

তিনি জানান, ৯৩টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করলেও আইন, নীতিমালা ও ইসির চাহিদা অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত দিতে পারায় এ ১২টি দলকে বাছাই করা হয়েছে। এখন তাদের মাঠপর্যায়ের তথ্য যাচাই করা হবে।

১২টি রাজনৈতিক দল হচ্ছে-এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি)।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, আইন অনুযায়ী নিবন্ধন পেতে ২১ জেলা ও ১০০ উপজেলা বা থানায় কার্যকরী কমিটি ও কার্যালয় এবং প্রতিটি উপজেলায় দলের অন্তত ২০০ ভোটার থাকতে হবে।

বাছাইয়ে যে দলের মাঠপর্যায়ে এসব কার্যক্রম পাওয়া যাবে, সেই দলটি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবে। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হলে সেই দলটি জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নিজ দলীয় প্রতীকে অংশ নিতে পারবে।

১২টি দল যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, নিবন্ধন পেতে ৯৩টি দল আবেদন করেছিল। এই আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করার জন্য যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করেছে। সঠিকভাবে আবেদন না করায় প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ১৬টি দলের আবেদন বাতিল হয়ে যায়। অবশিষ্ট ৭৭টি দলকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে বলেছিলাম। ১৯টি দল ১৫ দিনের মধ্যে জমা দিতে পারেনি।

এছাড়া পাঠানো চিঠি দুটি দলের ঠিকানা ঠিক না থাকায় ফেরত এসেছে। ১০টি দল সময় বাড়ানোর আবেদন করেছিল। সেটা নামঞ্জুর করা হয়েছিল। এভাবে ৩১টি আবেদন বাতিল হয়। সবশেষে থাকে ৪৬টি আবেদন। এ আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে নীতিমালা আইন এবং চাওয়া তথ্যের সঙ্গে তারা যা দিয়েছে তা পূরণ না করায় ৩৪টি আবেদন বাতিল করা হয়েছে। বাকি ১২টি দলের মাঠপর্যায়ের তথ্য ১৫ দিনের মধ্যে যাচাই করে প্রতিবেদন দেবে। এরপর কমিশন তা যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, রোডম্যাপ অনুযায়ী জুনের মধ্যে নতুন দলের নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে। তবে যাচাই-বাছাইরে পর কটা টিকবে কী টিকবে না সেটা এখন বলতে পারব না।

উপজেলা পর্যায়ে ২০০ ভোটারের সমর্থন থাকা লাগবে, এখন সেটা যাচাই করা হবে। এক-তৃতীয়াংশ জেলায় অফিস আছে কিনা সেই রিপোর্ট আসার পর সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।

ইসি সূত্র জানায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও) এবং রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী তিনটি শর্তের যে কোনো একটি শর্ত পূরণ করলে সেই রাজনৈতিক দলটি নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবে। শর্ত তিনটি হলো-১. বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে অনুষ্ঠিত যে কোনো সংসদ নির্বাচনের যে কোনো একটিতে দলীয় প্রতীকে একটি আসন পেতে হবে।

২. কোনো সংসদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনি এলাকায় মোট প্রদত্ত ভোটের অন্তত ৫ শতাংশ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। ৩. দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং দেশের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলায় ও অন্তত ১০০টি উপজেলায় বা মেট্রোপলিটন থানায় কার্যালয় থাকতে হবে। প্রতিটি উপজেলায় দলের সদস্য হিসাবে ন্যূনতম ২০০ ভোটার তালিকাভুক্ত থাকতে হবে।

আরও দেখুন

পিরোজপুরে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে দিনব্যাপীপ্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:  ১৩ জুলাই ২০২৪, শনিবার, ঢাকা: মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে পিরোজপুরের …