নিউজ ডেস্ক :
বিদেশ থেকে আনা যন্ত্রাংশের (চেসিস) ওপর ভিত্তি করে নিজস্ব কারখানায় বাস তৈরি শুরু করছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। এর মধ্যে দুটি বাস তৈরির কাজ সম্পন্ন করেছে। আরও কয়েকটি বাস তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। একই সঙ্গে চলছে নতুন বাস আমদানির প্রক্রিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সিএনজিচালিত ৩৫০টি এবং ভারত থেকে বিদ্যুচ্চালিত ১০০টি নতুন বাস কেনার আয়োজন চলছে।
গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাস ডিপোর নবনির্মিত ইয়ার্ড উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান বিআরটিসি চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম। বিআরটিসি চেয়ারম্যান বলেন, চেসিস বানানোর সক্ষমতা এখনো আমাদের হয়নি। তবে চেসিস বাদে পুরো একটি গাড়ি বানানোর শতভাগ সক্ষমতা বিআরটিসির রয়েছে। তাই বিদেশ থেকে চেসিস এনে আমাদের নিজস্ব কারখানায় বাস তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে আমাদের বাস আমরাই উৎপাদন করতে চাই। এ সময় তিনি জানান, ২০১২ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া গাজীপুরের সমন্বিত কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানা পুনরায় চালু করা হয়েছে। পুরনো মেশিনারিজ পরিবর্তন করে নতুন মেশিনারিজ সরঞ্জামযুক্ত কারখানার সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ঢাকার তেজগাঁওয়ের কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানাও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এসব কারখানার কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা হয়েছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের নিজস্ব কারখানায় তৈরি দুটি বাস বিমানবন্দরের শাটল রুটে ব্যবহার করা হবে। শিগগির মন্ত্রণালয় থেকে উদ্বোধনের দিন নির্ধারণ করা হবে। বাস দুটি ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় শাটলভাবে ঘুরতে থাকবে। বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন বাস টার্মিনাল ও রেলওয়ে স্টেশনে যাবে। বিদেশ থেকে আসা প্রবাসী ভাইদের জন্য এতে বিশেষ সুবিধা থাকবে। প্রতিটি বাসে ৩০-৪০ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবেন। বাসে যাত্রীদের লাগেজ রাখারও ব্যবস্থা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বর্তমানে বিআরটিসির বহরে যাত্রীবাহী বাস রয়েছে ১ হাজার ৩৫০টি। এসব বাস সুইডেন, জাপান, চীন, কোরিয়া ও ভারতের মতো দেশ থেকে কেনা হয়েছে।