নিউজ ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে কোনো মাদকের স্পট, মাদকের আস্তানা কিংবা মাদক বিক্রেতার স্থান হবে না। কেউ মাদক নিয়ে কোনো ধরনের চিন্তা করে থাকলে এখনি সচেতন হউন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত চানমারী বস্তি অবশেষে উচ্ছেদ করেছে জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের নেতৃত্বে এক্সকাভেটর (ভেকু) দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পাশে অবস্থিত বস্তিটি শহরের অন্যতম বৃহত্ মাদক স্পট হিসেবে পরিচিত ছিল।
পাঁচ শতাধিক ঘর ছিল এই চানমারী বস্তিতে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এ বস্তিতে কয়েক যুগ ধরেই মাদক ব্যবসা চলছিল। প্রায়ই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানও হতো। তবে শত প্রচেষ্টার পরও রহস্যজনক কারণে বন্ধ হয়নি বস্তিকে ঘিরে মাদক ব্যবসা। অবশেষে প্রশাসনের জোরালো পদক্ষেপে মাদকের অন্যতম ‘বড় আখড়া’ চানমারী বস্তি উচ্ছেদ হওয়ায় আশপাশের লোকজন স্বস্তি প্রকাশ করেছে। নারায়ণগঞ্জের চানমারী বস্তি উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষ করে সাংবাদিকের এ কথা জানান এসপি।
তিনি বলেন, এই চানমারী বস্তি ছিল মাদকের স্পট। এখানে মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলত। মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার, সাজা দেওয়া, বন্দুকযুদ্ধের মতো ঘটনাও এখানে ঘটে। মাদক বিক্রেতারা এই এলাকাটিকে বেছে নিয়েছিল মাদকের হাট হিসেবে। এখানে প্রায় ২০০ শতাংশ জমিতে ছিল অবৈধ স্থাপনা। আমরা এটি উচ্ছেদ করেছি এবং সড়ক ও জনপথকে বলেছি তাদের জমিতে যেন দ্রুত তারা সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করে যেন কেউ আর এখানে অবৈধ স্থাপনা করতে না পারে। জানা যায়, এই ২০০ শতাংশ জমির দাম প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। এই জমিটি প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন দখলে রেখে এখানে মাদক বিক্রেতাদের ভাড়া দিয়ে তাদের দিয়ে মাদক ব্যবসা করাত।