সিলেট বিভাগের চা বাগানের নারী শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে চারটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতায় সরকার দুই বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ২০ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ১৭ কোটি টাকা)।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাওরান বাজারে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে (ডিআইএফই) এক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ।
সভায় জানানো হয়, উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে চারটি আন্তর্জাতিক সংস্থা সহযোগিতা দেবে। এগুলো হলো আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ), জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ, জাতিসংঘের নারীবিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড নেশন উইমেন (ইউএন উইমেন)। এসময় আরো জানানো হয়, চা শ্রমিকরা অসুস্থতা, চাকরি বা আয়ের নিরাপত্তাহীনতা এবং বার্ধক্যজনিত শারীরিক দুর্বলতাসহ নানা সমস্যায় পড়েন। তাদের মাঝে মাদক, পারিবারিক সহিংসতা, জোরপূর্বক বিবাহ, বাল্য বিবাহ, কৈশোরে গর্ভধারণ, যৌন হয়রানি এবং বহুবিবাহের মতো অনেক সমস্যা বিরাজমান। এক্ষেত্রে নারী শ্রমিকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চা শিল্পের এসব সমস্যা নিরসন করা সহজ হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে সচিব কে এম আলী আজম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়, ঢাকায় আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পুটিয়াইনেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।