রাজধানীর রাস্তায় নারীর চলাচল নিরাপদ করতে মেয়র নির্বাচিত হলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৮ হাজার এলইডি লাইট লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আতিকুল ইসলাম।
গেল সপ্তাহে কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কে নেমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ধর্ষিত হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার মধ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে এই প্রতিশ্রুতি দিলেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী।
ওই ছাত্রী শ্যাওড়ায় এক বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে ভুল করে সন্ধ্যার সময় এক স্টেশন আগে নেমেছিলেন। এরপর পেছন থেকে তার গলা ধরে ফুটপাতের পাশের ঝোপের আড়ালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকার প্রধান সড়কগুলোর একটির পাশে তিন ঘণ্টা ধরে মেয়েটির ওপর নির্যাতন চালানো হলেও তিনি কারও সহযোগিতা পাননি, যার কারণ হিসেবে ওই জায়গা নিরিবিলি ও অন্ধকারাচ্ছন্ন হওয়ার কথা বলেছেন তদন্তকারীরা।
গত বছর ঢাকা উত্তরে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর নয় মাস দায়িত্ব পালনের মাথায় আবার সেই পদের জন্য ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন গার্মেন্ট ব্যবসায়ী আতিক।
তিনি বলছেন, গত নয় মাসের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পরিকল্পিত, আধুনিক, সচল ঢাকা গড়ে তোলাই তার লক্ষ্য।
“মেয়র নির্বাচিত হলে আমি মানবিক ঢাকা গড়ব। ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যানজট ও জলজট। আমার এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার অভিজ্ঞতা আছে।”
নারীর নিরাপত্তায় সড়কের পাশে লাইট লাগানোর পাশাপাশি নগরীর ওয়ার্ডগুলোর বিভিন্ন সমস্যা স্থানীয়ভাবেই সমাধানের ভাবনার কথা ভোটারদের জানান আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “আমরা স্মার্ট সিটি করতে চাই। ওয়ার্ডগুলোতে বিভিন্ন সমস্যা আছে। আমরা ওয়ার্ডভিত্তিক সেসব সমস্যার সমাধান করব। তাছাড়া মেয়র থেকে কাউন্সিলর সবারই জবাবদিহি নিশ্চিত করতে চাই।”
শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুরের হযরত শাহ আলীর মাজার জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন আতিকুল ইসলাম। এ সময় ঢাকা-১৪ আসনের এমপি আসলামুল হক এবং ঢাকা-১৩ আসনের এমপি সাদেক খান তার সঙ্গে ছিলেন। তবে কিছুক্ষণ পর তারা চলে যান।
নির্বাচনী প্রচারে এমপিদের এই উপস্থিতি আচরণবিধি লংঘন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, “উনারা প্রচারে অংশ নেননি। এসে কিছুক্ষণ পরেই চলে গেছেন।”
শাহ আলীর মাজার থেকে মিরপুর-১ এর দিকে গণসংযোগ শুরু করেন আতিকুল ইসলাম। নির্বাচনী ব্যানার লাগানো ট্রাকে উঠে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় যান তিনি। ঘোরেন রূপনগর, মিরপুর-২ এর বিভিন্ন অলি-গলি। দোকানে, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারপত্র বিলি করেন তার কর্মী-সমর্থকরা।
বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই এলাকায় গণসংযোগ করেন আতিকুল ইসলাম। রাত ৮টায় উত্তরায় তার নির্বাচনী কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর তাঁতী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।