নিউজ ডেস্ক:
শুধু নারীদের জন্য দেশে চালু হতে যাচ্ছে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক’। রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, সমাজসেবা, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ এবং এ বিষয়ক গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার জন্য এ পদক দেওয়া হবে। এ ছাড়াও সরকার চাইলে অন্য যে কোনো ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পদকটি দিতে পারবে। এ সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
নীতিমালা অনুযায়ী বিজয়ীরা পাবেন ১৮ ক্যারেট মানের ৪০ গ্রাম স্বর্ণের পদক; পদকের একটি রেপ্লিকা, ৪ লাখ টাকা ও সম্মাননা সনদ। প্রতিবছর ৮ আগস্ট বঙ্গমাতার জন্মদিনে আয়োজিত জাতীয় অনুষ্ঠানে মনোনীতদের পদকটি দেওয়া হবে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, শুধু বাংলাদেশি নারীরাই পদকটির জন্য বিবেচিত হবেন। এ ক্ষেত্রে নারীর সামগ্রিক জীবনের কৃতিত্ব ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অবদানকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। মরণোত্তরও পদক প্রদান করা যাবে। তবে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ বা ফৌজদারি আইনে শাস্তিপ্রাপ্ত বা অভিযুক্ত বা দেউলিয়া কেউ পদকপ্রাপ্তির জন্য বিবেচিত হবেন না। এ ছাড়া একবার পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি আর বিবেচিত হবেন না। প্রতিবছর পদকের সংখ্যা সর্বোচ্চ ৫টি হবে। তবে উপযুক্ত প্রার্থী না পেলে সংখ্যা কমতে পারে। পদকের সব ব্যয় বহন করবে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রতিবছর ৮ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে মহিলা ও
শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ৮ মার্চ আবেদন গ্রহণ করা হবে। ৮ মে প্রাথমিক বাছাই কমিটির সভা ও কার্যক্রম সম্পাদন হবে। সভার কার্যবিবরণী ৮ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। ১ জুলাই মনোনয়ন চূড়ান্ত করবে পদক প্রদান সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি। ৮ জুলাই পদক বিজয়ীদের নামের তালিকা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে। ৮ আগস্ট বঙ্গমাতার জন্মদিনে বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদক প্রদানের জন্য মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাছাই কমিটি থাকবে। পদক প্রদানের নাম সুপারিশকালে বয়োজ্যেষ্ঠ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেবে কমিটি।
কর্মকর্তারা বলেন, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের নেপথ্য কারিগর এবং অসাধারণ মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন একজন মহীয়সী নারী। দেশ ও জাতির জন্য অপরিসীম ত্যাগ, সহমর্মিতা, সহযোগিতা ও বিচক্ষণতা তাকে বঙ্গমাতায় অভিষিক্ত করেছে। মহীয়সী এই নারীর দেশপ্রেম, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা, সাহসিকতা, মহানুভবতা, উদারতা, মানবকল্যাণ ও ত্যাগের মহিমা বাঙালিসহ বিশ্বের সব নারীর কাছে অনুপ্রেরণার উৎস। এ জন্য তার অবদান চিরস্মরণীয় করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পদক চালু করা হচ্ছে।