নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোর ১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত হত্যা মামলা আমলে নিয়ে পিবিআই পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই সাথে আগামি ২৭ জুলাই মামলার পরবর্তি দিন ধার্য্য করেছেন আদালতের বিচারক। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ আবু সাঈদ এই আদেশ দেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী সকালে টাকা পাওনা রয়েছে বলে এমপি বকুলের নির্দেশে স্থানীয় আইয়ুব আলীকে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে এমপির নির্দেশে এমপির বাড়ীতে একটি গাছের সাথে বেঁধে রেখে চড় থাপ্পর মারা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্প পেপারে স্বাক্ষর দাবী করে অভিযুক্তরা। স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করলে এমপি নির্দেশ দেন আইয়ুব আলীকে গাছে ঝুলিয়ে পিটানোর এবং পরে তাকে বস্তা বন্দি করে পদ্মা নদীতে ফেলে দিতে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আইয়ুব আলী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে আইয়ুব আলীর মরদেহ তার পরিবারের কাছে দিয়ে দেয় তারা। এরপর পুলিশ আইয়ুব আলীর মরদেহটির সুরৎহাল করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
ঘটনার পর নিহত আইয়ুব আলীর স্ত্রী বাগাতিপাড়া থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ তাদের অভিযোগ নেয়না। এরপর গত ১ জুন মৃত আইয়ুব আলীর স্ত্রী শাহানাজ পারভীন বাদী হয়ে সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলকে প্রধান আসামী করে আরো ৪ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন আদালতে। মামলার অন্য আসামীরা হলেন,বাগাতিপাড়া উপজেলার স্যান্যাল পাড়ার আব্দুল মজিদের ছেলে মহিদুল ইসলাম,মৃত ময়েজ সরদারের ছেলে আব্দুল মজিদ,মাড়িয়া গ্রামের সাজদার রহমানের ছেলে মাইনুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান।