বিশেষ প্রতিবেদক:নাটোর শহরের নিমতলায় দুলাল পালের দোকান দখল সংক্রান্ত কুরুচিপূর্ণ বানোয়াট প্রঅপচারের অভিযোগ করেছেন পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি। দশবছর পূর্বে জনৈক এরশাদ আলী শরৎ চন্দ্র পাল ওরফে দুলাল পালের ছোট ভাই ননীগোপাল পালের কাছে থেকে তার অংশের ৬ শতাংশ ৪২ লিংক সম্পত্তি ক্রয় করেন। কিন্তু সম্পত্তি ক্রয়ের পরপরই বাটোয়ারা সংক্রান্ত একটি মামলা করেন দুলাল পালের বড় ছেলে এড. রণজিৎ পাল আদালতে মামলা করেন। এ নিয়ে এরশাদ আলীর আইনজীবী প্রসাদ তালুকদার মধ্যস্থার প্রস্তাব দিলে রণজিৎ পাল তা প্রত্যাখ্যান করেন। মালিকানা নিয়ে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে বিরোধের জেরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার স্থানীয় সংসদ সদস্যের মধ্যস্থতায় পৌর মেয়র উমা চৌধরীর চেম্বারে বসেন জেলা আওয়ামীলীগ এর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মর্তুজা আলী বাবলু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট প্রসাদ তালুকদার,সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. মালেক শেখ, যুবলীগের সভাপতি বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়াসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তারা শরৎ চন্দ্র পাল ওরফে দুলাল পাল, তার দুই ছেলে এবং ছেলের বউসহ একসঙ্গে বসে দুলাল পাল এবং তার ছেলেদের চাহিদা মতো এক শতাংশ বেশি দিয়ে মধ্যস্থতা করেন। পরে দোকানের জায়গার জন্যে আরো ১০ফিট বাই ১৮ ফিট জায়গা ছেড়ে দিতে এরশাদ আলীকে রাজি করান সংসদ সদস্য শফিকুল ইষলাম শিমুল। এতে তারা (দুলাল পাল এবং তার ছেলেরা) স্বতস্ফুর্তভাবে সমর্থন দেন। সেই মোতাবেক জায়গা তৎক্ষণাত তাদেরই ইচ্ছায় দেয়াল তুলে দেয়া হয়।মেয়র উমা চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, চিত্তরঞ্জন সাহা এবং এ্যাড.খগেন্দ্রনাথ রায় এনিয়ে তার এবং আওয়ামীলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে নানা রকম কুৎসা রটনা করে যাচ্ছেন। এতে তার সামাজিক এবং রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্তিষুন্নিন হয়েছে। আরো জানান, তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিতও ছিলেন না। তারপরেও তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করায় তিনি এর তীব্র নিন্দা জানান।অভিযোগের ব্যাপারে এাড মালেক শেখ জানান, তাদের বিরুদ্ধে যে জোর করে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ বা প্রচার করা হচ্ছে তা মিথ্যা এবং বানোয়াট। আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও জমি দখলে যাওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, দুই পক্ষের সমঝোতায় এটি হতে পারে।কতিপয় ব্যক্তি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন। মালেক শেখ আরো বলেন কেউ কেউ এরশাদ আলীর কাছ থেকে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে।
উমা চৌধুরী জলির অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে এ্যাড.খগেন্দ্রনাথ রায় জানান, আমি তার বিরুদ্ধে কোন অপপ্রচার চালাইনি। আমি শুধু বলেছি, আদালতে মামরা চলাকালীন এই দখল অনৈতিক।
চিত্তরঞ্জন সাহার সাথে এব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।