শুক্রবার , নভেম্বর ১৫ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / নাটোর সদর / নাটোর বিআরটিএ অফিস দালালদের আখড়া

নাটোর বিআরটিএ অফিস দালালদের আখড়া

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নাটোর বিআরটিএর কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এছাড়াও দালালদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের স্থানীয় অফিসটি। সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারিদের যোগসাজসে গড়ে উঠেছে দালাল চক্রের শক্তিশালি সিন্ডিকেট। সম্প্রতি যমুনা টেলিভিশনের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এসব অনিয়ম দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র।

কয়েকদিন থেকেই নাটোর বিআরটিএর অনিয়ম দুর্নীতি অনুসন্ধানে করে যমুনা টেলিভিশন। একটা ফোন কলের মাধ্যমে পরিচয় গোপন করে দালাল চক্রের অন্যতম হোতা গোলাম কিবরিয়া মিজানের সাথে কথা হয়। লাইসেন্স প্রতি সাড়ে ছয় হাজার টাকা দাবী তার। যদিও হালকা ও ভারী যানবাহনের সরকার নির্ধারিত লার্নার ফি ৩৪৫টাকা। এরপর ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি পেশাদার-অপেশাদার লাইসেন্সের জন্য যথাক্রমে ১,৬৭৯ ও ২,৫৪২ টাকা জমা দিতে হয়। পরে মিজানের সাথে দেখা হলে কথাবার্তার একপর্যায়ে তিনি অফিসের কর্মকর্তাদের নাম বলেন, যাদের তিনি ঘুষ দেন।

তিনি আরও জানান, কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তিনি ছাড়াও একাধিক দালাল সক্রিয় বিআরটিএ অফিসে। এরপর একই কৌশলে আরেক দালালের মুখোমুখি হলেও একই চিত্র উঠে আসে।

দালাল মিজানুর রহমান জানান, পরীক্ষা দেবেন। সাদা খাতা জমা দিয়ে আসবেন। পাশ করানোর দায়িত্ব আমাদের উপর ছেড়ে দেন।

অফিসের সামনে গেলে সেবাগ্রহিতারা অভিযোগ করে জানান, গাড়ির ফিটনেস, লাইসেন্স এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে এসে ভোগান্তি পোহাতে হয়। দালাল না ধরলে কোন কাজই হয়না। লাইসেন্স প্রতি দুইগুণ, তিনগুণ টাকা বেশী দিতে হয়।

তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বিআরটিএর সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান জানান, তাদের অফিসের কেউ অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত না। বাইরে দালাল চক্র রোধ করা তার একার পক্ষে সম্ভব নয়। জনগণের ভোগান্তি দুর করতে বিআরটিএ অফিসের অনিয়ম দুর্নীতি রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেবার কথা জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাইদুজ্জামান।

অপরদিকে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানিয়েছেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হবার পর থেকেই বিআরটিএ অফিসে সেবাগ্রহীতাদের ভীর বেড়ে গেছে। আর এই সুযোগে দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে আমরা এক দালাল চক্রের আস্তানায় হানা দিয়ে বিপুল পরিমান বিআরটিএর কাগজপত্র জব্দ করেছি। কয়েকজন দালালকে আইনের আওতায় এনেছি। সকল দালালদের তালিকা করা হয়েছে। অফিসের কোন কর্মকর্তারা জড়িত তারও তথ্য আছে আমাদের কাছে। বিআরটিএ অফিস দুর্নীতিমুক্ত করতে জেলা পুলিশ তৎপর রয়েছে।

আরও দেখুন

বিএনপির সাবেক এমপি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে হামলা-দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ,,,,,,,,,,চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক …