নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুর রহমান মাসুমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযোগ করেছেন পিংকি কনস্ট্রাকসনের সত্বাধিকারী আশফাকুল ইসলাম। গতকাল সোমবার তিনি পৌরসভার মেয়র বরাবর এক লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি তিনি র্যাব -পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেন বলে জানিয়েছেন।
অভিযোগে তিনি জানান, নাটোর পৌরসভা পিংকি কনস্ট্রাকশনস এর নামে চারটি কাজের কার্যাদেশ প্রদান করে। তার মধ্যে দুটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। পৌরসভার কাজ পরিদর্শনের জন্য উপসহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস ইসলাম প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর শরিফুল ইসলাম ও একজন কার্যসহকারী শফিকুল ইসলাম রয়েছেন। পিংকি কনস্ট্রাকশনস কর্তৃক নির্ধারিত দুইজন ব্যক্তি তারিকুর রহমান ও রনি সহ তারা সঠিকভাবে দরপত্রের শর্ত মোতাবেক কাজ পরিচালনা করে আসছেন।
কাজ চলাকালীন সময়ে ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আরিফুর রহমান মাসুম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য স্বপন সহ আরো কয়েকজন আমার লোকদের কাছে চাঁদা দাবি করে। কিন্তু আমি তাদের চাঁদা দিতে নিষেধ করি এবং বলি অফিসের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করবে। কাউকে কোন চাঁদা দিবেনা। এমতাবস্থায় ২৪ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কাউন্সিলর মাসুম ও তার সহযোগীরা শহরের মীরপাড়া সাইটের কাজের স্থলে যায়। কোন কারণ ছাড়াই তারা আমার লোকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তার সাথে থাকা লোকদেরকে আমার লোকজনকে মারার নির্দেশ দেয়। এমতাবস্থায় একজন দৌড়ে পালিয়ে যায়। অন্যজন তারিকুর রহমান পরশকে তারা প্রচণ্ড মারধোর করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। আমি এই মারধর ও চাঁদা দাবির জন্য বিচার দাবি করছি। উক্ত ঘটনার সঠিক বিচার না হওয়া পর্যন্ত পৌরসভার কোন প্রকার কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
সেই সঙ্গে আমার চলমান কাজ ক্ষতিগ্রস্ত করার যাবতীয় ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।
অভিযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জানান, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আরিফুর রহমান মাসুমের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে অনুরোধ জানিয়েছি।
অভিযোগের ব্যাপারে কাউন্সিলর আরিফুর রহমান মাসুমের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার মুঠো ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তার ফোন বন্ধ পাওয়ায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।