নিজস্ব প্রতিবেদক ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,নাটোর জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে জেলা কমিটির সাবেক সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজকে আহ্বায়ক এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদকে সদস্য সচিব করে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটির তালিকা ঘোষণা প্রকাশ করা হয়। এছাড়া, আংশিক আহ্বায়ক কমিটিতে আব্দুল আজিজ, জিল্লুর রহমান চৌধুরী বাবুল, মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, সাইফুল ইসলাম আফতাব এবং দাউদার মাহমুদকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং শহিদুল ইসলাম রাজু, সাবিনা ইয়াসমিন, আবুল কাশেম, তারিকুল টিটু, ব্যারিস্টার আবু হেনা মোস্তাফা, সুফিয়া হক এবং শ্রী রঞ্জিত কুমার সরকারকে সদস্য করা হয়েছে।
এদিকে নব্য ঘোষিত নাটোর জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি প্রত্যাখ্যান করে প্রকাশ্যে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসুবকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জেলা বিএনপির অনেক নেতাকর্মী।
সদ্য বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু বলেছেন, আজীবন দলের জন্য কাজ করেছি। দলের জন্য তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছি, মাথায় ১৮টি সেলাইয়ের এখনো ঘা শুকায়নি, এখনো ডান হাতে খেতে পারি না। স্বাক্ষর করতে পারি না, লিখতে পারি না। তিন বার আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় মৃত্যুপথ থেকে ফিরে এই প্রাপ্তিতে বিস্ময় প্রকাশ করা ছাড়া আমার আর কিছু বলার নেই। তিনি বলেন, এই কমিটি দলের প্রধান তারেক রহমানের করা হলে আমার কোন বক্তব্য নেই। আর অন্য কোন কায়েমী স্বার্থবাদী মহলের মাধ্যমে হলে হতাশার শেষ নেই। দলের নেতা তারেক রহমানের প্রতি তার আস্থা আছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট নিয়ে সঠিক নেতাদের নিয়ে তিনি পুনরায় কমিটি গঠনের দাবী জানান।
সদ্যগঠিত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন ও সাইফুল ইসলাম আফতাব কমিটিতে তাদের নাম দেখে বলেন, কিছু ত্যাগী নেতা থাকলেও অনেককে পদ দেয়া হয়েছে যাদের বিএনপিতে কোন অবদান নেই। বহিস্কৃত নেতা মিজানুল হক ডিউক ও আবুল কাশেমকে পদ দেয়ায় তারা হতবাগ হয়েছেন। দ্রুত কমিটি সংশোধন করে প্রকৃত ত্যাগী নেতাদের কমিটিতে স্থান দেয়ার জন্য তারা দাবী জানান। সদ্য বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ বঞ্চিত শহিদুল্লাহ সোহেল বলেন, ১৭ বছরে যারা বিএনপির মিটিং মিছিলে আসেনি এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের সাথে ব্যবসা বাণিজ্য করেছে তাদের অনেককে নব্য ঘোষিত কমিটিতে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে বহিস্কৃত সদস্য দাউদার মাহমুদকেও কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে নির্বাচনে হারানোর জন্য যে আবুল কাসেম আওয়ামীলীগকে অর্থ দিয়েছে তাকেও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য করা হয়েছে। আমরা ঘৃণাভরে এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা দুলু ভাইয়ের নেতৃত্বে নাটোর জেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসুবকের ষ্ট্যাটাসে ক্ষুদ্ধ প্রতিত্রিয়া ব্যক্ত করে নেতাকর্মীরা বলেন, ১৭ বছর যারা বিএনপির আপদে- বিপদে একদিনের জন্য পাশে ছিল না এমন একাধিক নেতাকে কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। যা বিএনপি’র রাজনীতির জন্য অশনী সংকেত হতে পারে।