নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের দিঘাপাতিয়া এমকে কলেজে অবৈধভাবে অধ্যক্ষ নিয়োগ চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন একই এলাকার দত্তপাড়া ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ আলতাফ হোসেন। আদালতের বিচারক নিয়োগ কার্যক্রমের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
নাটোর সদরের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দায়ের করা মামলায় কলেজ গভঃনিং বডির সভাপতি নাটোর জেলা প্রশাসক, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহ আব্দুল লতিফ, উপাধ্যক্ষ কৃষিবিদ আমজাদ হোসেন, শিক্ষক প্রতিনিধি অরবিন্দ কুমার সাহা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষা মন্ত্রানালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালককে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে মামলার বাদী দত্তপাড়া ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ আলতাফ হোসেন জানান, নাটোরের দিঘাপাতিয়া এমকে কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক অবসরে যাওয়ায় নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। বাদী সহ ১০জন নিয়মানুযায়ী অধ্যক্ষ পদে আবেদন করেন। কিন্তু এই কলেজের উপাধ্যক্ষ কৃষিবিদ আমজাদ হোসেনকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য অবৈধ ভাবে তিনিসহ তিনজনের আবেদন বাতিল করা হয়।
বাদী বলেন, তিনি স্থানীয় দত্তপাড়া ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে গত ১১ বছর থেকে সুনামের সাথে কর্মরত আছেন। বে-সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামোর বিধান থাকার পরও তার শিক্ষা জীবনে একটি তৃতীয় বিভাগ থাকায় তার আবেদন বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, উপাধ্যক্ষ কৃষিবিদ আমজাদ হোসেন নিজে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালনের সময় নিয়ম অমান্য করে নিজের সন্তানকে নিজের প্রতিষ্ঠানে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়ান। কলেজের প্রভাষক মোশারফ হোসেন অভিযোগ করায় জেলা প্রশাসন তদন্ত করে বিষয়টির সতত্যা পান। পরে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড চার বছরের জন্য উপাধ্যক্ষ কৃষিবিদ আমজাদ হোসেন ও পরীক্ষা কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত অরবিন্দ কুমার সাহাসহ সকলকে চার বছরের জন্য কলেজের সকল পরীক্ষা থেকে অব্যহতি প্রদান করেন।
এই দন্ডপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ কৃষিবিদ আমজাদ হোসেনকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্যই কলেজের জেষ্ঠ সহকারী অধ্যাপককে বাদ দিয়ে তার অনুগত সহকারী অধ্যাপক শাহ আব্দুল লতিফকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অন্য অভিযুক্তদের সাথে যোগসাজশে বাদীর আবেদন অবৈধ ভাবে বাতিল করে দন্ডপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ কৃষিবিদ আমজাদ হোসেনকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দানের অপচেষ্ঠা করায় তিনি এই মামলা দায়ের করেছেন।
বাদীর আইনজীবী ও নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক শেখ জানান, বাদীকে অযোক্তিক ভাবে নিয়োগ পরীক্ষার অংশ গ্রহনের জন্য অনুমতিপত্র না দেয়ায় নাটোর সদরের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক তহমিনা খাতুন নিয়োগের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ১৫দিনের মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বার বার চেষ্টা করেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহ আব্দুল লতিফকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
আরও দেখুন
নন্দীগ্রামে রস সংগ্রহের জন্য খেজুরগাছ প্রস্তুত
নিজস্ব প্রতিবেদক নন্দীগ্রাম ,,,,,,,,,,বগুড়ার নন্দীগ্রামে রস সংগ্রহের জন্য খেজুরগাছ প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন হেমন্তকাল। মাঠ …