সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / ‘নাটোর ইয়ুথ ব্লাড ডোনার গ্রুপ’ এর ঈদসামগ্রী বিতরণ

‘নাটোর ইয়ুথ ব্লাড ডোনার গ্রুপ’ এর ঈদসামগ্রী বিতরণ


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

করোনা মহামারির প্রকোপে জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা যখন ব্যাহত তারই মাঝে এসেছে এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর এই অভাবী মানুষদের মূখে ঈদের আহার সংস্থানে পাশে দাঁড়িয়েছে বরাবরের মত নাটোরের রক্তদাতাদের যুব সংগঠন “নাটোর ইয়ুথ ব্লাড ডোনার গ্রুপ”। জেলার ৭টি উপজেলায় সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীদের হাত হয়ে প্রজেক্ট:মিষ্টিমুখ নামে পালিত হয়েছে এই কর্মসূচী।


বিতরণের সামগ্রীর মাঝে সেমাই ও সেমাই তৈরিতে আনুসঙ্গিক সামগ্রী রাখার জন্য এবং ঈদের সকালে মিষ্টিমুখে অসহায় ও দরিদ্রের দিন সূচনার প্রত্যাশায় সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা এই সেবামূলক কর্মকান্ডের নাম ভালোবেসে রাখেন “মিষ্টিমুখ” যা বিভিন্ন সংগঠন ও জনসাধারণের মাঝে আলোরিত করেছে।


নাটোর জেলার আওতাধীন সকল উপজেলায় ৫৭৭ অসহায় ও দরিদ্র পরিবারে “নাটোর ইয়ুথ ব্লাড ডোনার গ্রুপ” এর স্বেচ্ছাসেবীদের হাত হয়ে পৌছে গেছে প্রজেক্ট: মিষ্টিমুখের সেবা। যার সহযোগিতা এসেছে বরাবরের মতই সংগঠনটির গোপন মহৎ হৃদয়বান দাতাদের হাত থেকে ও স্বেচ্ছাসেবীদের নিজস্ব অনুদানে। সংগঠনটির বিভিন্ন উপজেলা/শাখা ইউনিট লীডারদের পরিচালনা “মিষ্টিমুখ” প্রজেক্টের মানবতার উপহার পৌছেছে অসহায়ের দ্বারে।

যারা বিভিন্ন ইউনিটে দায়িত্বশীল পরিচালক ছিলেন তারা হলেন: সদর/কেন্দ্রীয় ইউনিট এর দায়িত্বে সংগঠনের সাঃ সম্পাদক মাসুদ রানা। এমনি ভাবে রওনোক হাসান, কেন্দ্রীয় যুগ্ন সাঃ সম্পাদক (বাগাতীপাড়া ইউনিট), মোনালিসা খাতুন, কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা (লালপুর ইউনিট), তোফায়েল আহম্মেদ তপু (নলডাঙ্গা ইউনিট), অপসরি সুলতানা (গুরুদাসপুর ইউনিট), মেহেদি হাসান (সিংড়া ইউনিট), আমিনুল হক অন্তর (বড়াইগ্রাম ইউনিট) এর হয়ে নিজ নিজ উপজেলায় প্রজেক্ট পরিচালনা করেন। উক্ত প্রজেক্টে আহ্বায়ক ও যুগ্ন আহ্বায়কের ভূমিকায় দায়িত্ব পালন করেন সংগঠনের সভাপতি অনিক সরকার, যুগ্নঃ আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন সহঃ সভাপতি নাজমুল আহম্মেদ। এছাড়া সংগঠনের ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক পিয়াস, অনলাইন সম্পাদক আরমান, কার্যকরি পরিষধের সদস্য সজল,হাবীব,তৌহিদুল,রাসেল সহ সকল স্বেচ্ছাসেবীর অক্লান্ত পরিশ্রম ও অনুদান সংগ্রহে সংগঠনটির সেবামূলক ঈদ কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়ন ঘটে।


এ সেবামূলক ব্যাতিক্রমধর্মী প্রজেক্ট ও নাম নির্বাচন সম্পর্কে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ইখতিয়ারুল হক উল্লাসের কাছে জানতে চাইলে উনি জানান, মুসলিম উম্মাহে্র একমাস পবিত্র সিয়াম সাধনা পালনের পর আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের সকালে মিষ্টিমুখ করে প্রাতঃরাস ভঙ্গ মুসলিমদের কাছে সুন্নাত। আর সেই সুন্নাত পালনে ঐতিহ্য ধরে রেখেছে পূর্বকাল হতে সেমাই জাতীয় মিষ্টান্ন।


মুসলিমদের সেই সুন্নাত আদায়ে সঙ্গি হতে ও ঈদের সকালে অভাবী মুখে মিষ্টিমাখা হাঁসি ফোটাতে সেবামূলক এই কর্মসূচীর এমন নাম প্রদানের কারণ। তিনি আরও বলেন নাটোরের জনসাধারণ বরাবরের মত পাশে থাকার কারণেই সকল কিছু সফল হয়েছে। প্রত্যাশা যেন তারা আগামীদিনে একইভাবে পাশে দাঁড়াবে অসহায়ের।

আরও দেখুন

পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!

নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …