নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরে ১৬টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (ATU) এবং নাটোর জেলা পুলিশের যৌথ দল। আজ বেলা এগারোটার দিকে নাটোর পুলিশ লাইনস এর ড্রিল শেডে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং এ এই তথ্য জানান, পুলিশ সাপার তারিকুল ইসলাম। তিনি জানান,কিছু দিন পূর্বে নাটোরের সিংড়ায় সিংড়াপাড়া গ্রামের জনৈক ওসমান গণির ধান শুকানো খোলা থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যায়। মোটরসাইকেলের মালিক বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে মোটরসাইকেলটি না পেয়ে এজাহার দায়ের করলে সিংড়া থানায় এটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
মামলা রুজু হওয়ার সাথে সাথে সিংড়া থানা পুলিশের একটি দল চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য কাজ শুরু করে।
তিনি আরো জানান,একইসাথে সংঘবদ্ধ অপরাধ নিয়ে কাজ করা পুলিশের বিশেষ ইউনিট এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (ATU) কে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হয়। পরবর্তীতে সিংড়া থানা পুলিশের টিম এবং এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (ATU) এর একটি চৌকস দল যৌথ অভিযান পরিচালনা করে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানাধীন বাতিয়া গ্রাম হতে মামলার চোরাই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে এবং আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য বগুড়া জেলার গাবতলী থানার আইয়ুব আলীর ছেলে দুলাল মিয়া (৩৯)কে গ্রেফতার করে। এরপরে দুলাল মিয়ার দেয়া তথ্য মতে টাঙ্গাইল জেলার ভূয়াপুর থানার পাখাইলকান্দি গ্রামের মৃত মোজাফ্ফর আলী আক্ন্দ এর ছেলে মোঃ আইয়ুব আলী (৪৫),পাবনা জেলার আমিনপুর থানার সৈয়দপুর গ্রামের হিরু খানের ছেলে মোঃ শামীম খান (২০),একই ঝেলা এবং থানার কালিনগর গ্রামের মৃত এরশাদ আলীর ছেলে নাছির উদ্দিন (২৬), রাজশাহী জেলারএয়ারপোর্ট এলাকার শামীম বাবুর ছেলে আল-আমিন ইসলাম (২৭) পাবনা জেলার বেড়া থানার পূর্ব শ্রীকন্ঠদিয়া গ্রামের সোলায়মান শেখের ছেলে খবির শেখ (২২),সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার বাতিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল মন্ডলের ছেলে বাচ্চু মিয়া (৫৩),পাবনা জেলার আতাইকুলা থানার চুলকাটা গ্রামের মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে জিয়াম হোসেন জিম (২০)কে পর্যায়ক্রমে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে এবং দেয়া তথ্য মতে সিরাজগঞ্জ,পাবনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আরো ১৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
এই মামলার চোরাই মোটরসাইকেলটি গ্রেফতারকৃত দুলাল মিয়ার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় এবং পরবর্তীতে দুলাল এর দেয়া তথ্য মতে অন্যান্য আসামী গ্রেফতার ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে অন্যান্য চোরাই উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিকানা যাচাই এবং পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে।