নিজস্ব প্রতিবেদক,বড়াইগ্রাম:নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাকের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আনারুল ইসলাম (৪০) এবং বিল্লাল হোসেন শুভ(৩৩) দুজন নিহত হয়েছেন। শনিবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের খেজুর তোলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় যাত্রীবাহী বাসের ১০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত আনারুল ইসলাম চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুরের রহনপুর নুনগোলা এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে এবং বিল্লাল হোসেন শুভ ঢাকার গাবতলি কারমাইকেল রোড এলাকার বাসিন্দা আবুল বাসারের ছেলে ।
ঝলমলিয়া হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিনগত রাত ১টা ২০ মিনিটে উপজেলার খেজুরতলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা এনআর ট্রাভেলস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৩-২২৮২) এর সাথে নাটোর অভিমুখি গ্যাসের সিলিন্ডার বোঝাই একটি ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-৩২৬৮) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ট্রাকটি সড়কের পাশে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের সুপারভাইজার এবং হেলপার নিহত এবং দশজন আহত হন। আহতদের উপজেলা হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মরদেহ ঝলমলিয়া থানা হেফাজতে রয়েছে।
খবর পেয়ে বনপারা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা নিহত ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. নিশি খাতুন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাত জনকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঝলমলিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ি উপ-পরিদর্শক মনির আহমেদ রোববার সকাল ৮টায় জানান, খবর পেয়ে তারা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান এবং ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের সাথে নিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করেন। নিহতদের মরদেহ থানায় আছে। দুর্ঘটনার কারণ তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। তবে দুটি গাড়ি বেপরোয়াভাবে চলছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।