নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম:
নাটোরের সিংড়ায় স্বামীর পরকিয়ায় সন্তানসহ ঘর ছাড়া শাহারা বেগম (২৭)। স্বামীর নির্যাতনে কঠিন যন্ত্রনা নিয়ে শুক্রবার থেকে সিংড়া হাসপাতালে দিন কাটছে তার। এ বিষেয় শাহারার ভাই ইব্রাহিম হোসেন সিংড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন ওসি নুরে আলম সিদ্দিক।
শাহারা উপজেলার কলি গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে আব্দুস সালামের স্ত্রী এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার নেংটাদহ গ্রামের কছিমুদ্দিনে মেয়ে।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় আব্দুস সালামের সাথে। তাদের ঘরে আড়াই বছর আগে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। স্বামীর চাকুরী পরীক্ষা দেওয়া টাকা জোগারসহ সন্তানের ভরণ পোষনের জন্য স্নাতক পাস শাহারা ইশ্বরদি ইপিজেডে চাকুরী নেয়। স্নাতকত্তোর স্বামী ভাল চাকুরী পাবে এই আশায় মাস শেষে বেতনের সব টাকা তুলে দেন স্বামীর হাতে।
এদিকে বউয়ের অনুপস্থিতিতে এলাকায় স্বামী জড়িয়ে পরেন পরকিয়ায়। চাকুরী নেওয়ার নামে যৌতুক দাবী করতে থাকে। বাবা গরীব হওয়ায় যৌতুকের দুই লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জমি বিক্রয় করে তুলে দেন স্বামী আব্দুস সালামের হাতে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় মেয়ের সুখের চিন্তা করো সালামের হাতে টাকা তুলে দিয়েছেন। এক পর্যায়ে আরো গভীর হতে থাকে আব্দুস সালামের পরকিয়ার বিষয়। শাহারা প্রতিবাদ করলে চলতে থাকে নির্যাতন। নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়িতে চলে আসে শাহারা।
গত ২১ ডিসেম্বর স্বামী, চাচা শ্বশুর, দুলাভাইসহ শশুর বাড়িতে নিয়ে যায়। শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পর আবারো যৌতুকের জন্য শুরু হয় নির্যাতন। নির্যাতনের এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পরলে শুক্রবার ভর্তি করা হয় সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বাবার বাড়িতে খবর দিলে ভাইয়েরা এসে সিংড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিক বলেন, শাহারার ভাই বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।