নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের আরো এক স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। তিনি হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের (ওটি) ব্রাদার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এই প্রতিবেদন পাওয়ার পর অপারেশন থিয়েটারের দায়িত্ব পালনকারী ১ জন ডাক্তার, ৩ জন সিষ্টার ও ৩ জন সহকারীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অপারেশন থিয়েটার বিভাগ লকডাউন করা হয়েছে।
এ নিয়ে নাটোর জেলায় মোট ১১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হলেন। তবে আক্রান্তদের সকলেই সুস্থ রয়েছে দাবী তাদের। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় নাটোরের সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। আক্রান্ত ব্যক্তি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি থানার চন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা।
নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ও সহকারী পরিচালক ডাঃ আনছারুল হক জানান, ৩০ এপ্রিল ডিউটি শেষে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ১ মে নমুনাটি রাজশাহী পাঠানো হয়। আনছারুল হক আরও জানান, কোন সন্দেহ থেকে নয় এমনিতেই হাসপাতাল স্টাফদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল।
নাটোরের সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ৩০ এপ্রিল ডিউটি শেষে পারিবারিক বিশেষ প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে তিনি তার গ্রামের বাড়ীতে যান। এখনও তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এমন সংবাদ পাওয়ার পর তাকে জানানো হয়। এছাড়াও যেহেতু তিনি অপারেশন থিয়েটারে কর্মরত ছিলেন সেজন্য অপারেশন থিয়েটার বিভাগ লকডাউন করা হয়েছে। এর বাহিরে ওটি বিভাগে দায়িত্বপালনকারী ১ জন ডাক্তার, ৩ জন সিষ্টার ও ৩ জন ওটি সহকারীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।