নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোর সদর উপজেলার ২ নং তেবাড়িয়া ইউনিয়নে ১১ নভেম্বর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ারের নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে পোষ্টারে আগুন এবং এক কর্মীকে মরাপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে । রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয়রা।
গোলাম সারোয়ার ও প্রত্যক্ষ দর্শিরা অভিযোগ করেন, রোববার দুপুরে ইউনিয়নের একডালা এলাকায় নির্বাচনী অফিসের সামনে তার কর্মীরা আনারস প্রতিকের পোষ্টার লাগানোর কাজ করছিল। এসময় ৪ থেকে ৫ টি মোটর সাইকেল যোগে ৭/৮ জন সন্ত্রাসী এসে চেয়ারম্যান পার্থী গোলাম সারোয়ার ও, আজ রোববার দুপুরে তার বাড়ির সাথে লাগোয়া নির্বাচনী ক্যাম্পে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এসময় উপস্থিত কর্মিদের মারধর করা হয় টেবিল চেয়ার ভাংচুর ও পোস্টারে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঝুলানো পোষ্টারে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং স্বরুপ বিশ্বাস (২৫) নামের এক কর্মীকে মারপিট করে আহত করে চলে যায়।
তিনি অরোও অভিযোগ করেন, নির্বাচনের আর ১০ দিন বাঁকি এখনো তিনি মাঠে নামতে পারেনি। একদল সন্ত্রাসী তাঁর কর্মী সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। ফলে তিনি প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে নামতে পারছেন না। তিনি আজ বিষয়টি লিখিত আকারে রির্টানিং কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন বলে জানান।
সংবাদ পেয়ে নাটোর থানা পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রনি খাতুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পরই তিনি পুলিশ পাঠিয়ে ছিলেন। এখনো কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বপক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এসি ল্যান্ড রনি খাতুন জানান, তাঁরা ঘটনাস্থল সরজমিনে পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ওমর আলী প্রধান জানান, তেবাড়িয়া ইউনিয়নে সকল প্রার্থীর অংশগ্রহণে শান্তির্পূণভাবে নির্বাচনী প্রচারণা প্রচারণা চলছে। কেউ কাউকে বাঁধা দিচ্ছেনা। হুমকি ধামকি দেওয়ার ঘটনা শুনেনি। ইনশাআল্লাহ, অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন হবে।
এদিকে সদর উপজেলার ৫ নং হরিশপুর ইউনিয়নের সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহতাব আলী অভিযোগ করেন, বিভিন্ন স্থানে তার পোষ্টার ছেঁড়া হচ্ছে এবং তাকে সহ তার কর্মী সমর্থককে হুমকি ধামকি দিচ্ছে নৌকার সমর্থকরা।
নৌকা প্রতিকের প্রার্থীও বর্তমান চেয়ারম্যান ওসমান গণি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিজেদের নিশিচত ভরাডুবি জেনেই তারা অপ্রচার চালাচ্ছে ।