নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নাটোরে রিকশা-ভ্যান শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে আশ্বাস দিলেন নাটোর সদর আসনের সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুল। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কয়েকশো ভ্যান রিক্সা শ্রমিক একসঙ্গে সমবেত হয় সাংসদ শিমুলের কান্দিভিটার বাসার সামনে। এ সময় তারা সাংসদ শিমুলের সাথে দেখা করতে চান। এসময় সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুল বাইরে এসে তাদের কথা শোনেন। সব কথা শোনার পরে তাদের রিক্সা ভ্যান চলাচলের ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। যাতে তারা সীমিত আকারে তাদের ভ্যান রিক্সা মহাসড়কে চলাচল করতে পারে সে আশ্বাস প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত রিক্সা ভ্যান শ্রমিকরা উল্লাস প্রকাশ করে এবং সাংসদ শিমুলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওই স্থান ত্যাগ করে যে যার মতো কাজে ফিরে যান।
সাংসদ শিমুলকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, গরিব মানুষের এই অবস্থার কথা বিবেচনা করে আমি তাদের আশ্বাস দিয়েছি যে, উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে যাতে তারা মহাসড়কে সীমিত আকারে রিক্সা ভ্যান চালাতে পারেন সে ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
ঝলমলিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেনকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, এমপি সাহেব আমাকে বিষয়টি ভেবে দেখার অনুরোধ করেছেন। আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবো। তারপরে তারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহাসড়কের কতদূর পর্যন্ত রিক্সা ভ্যান চালাতে পারবেন তা জানিয়ে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য গত এক বছর যাবত নাটোর- বগুড়া মহাসড়ক নাটোর ঢাকা মহাসড়কে থ্রি হুইলার সহ রিক্সা ভ্যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা ভেঙে কেউ রিকশা-ভ্যান চালালে তাদের রিক্সা ভ্যান আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে তা ডাম্পিং করে দেয়া হয়। সিএনজি এবং ডিজেল চালিত থ্রি হুইলার গুলোকে মামলা দেয়া হয় এবং জরিমানা করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে রিক্সা ভ্যান গুলো আটক করে নিয়ে গেল তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা না দিয়ে সেগুলো একেবারেই আটকে দেয়া হয়। এযাবত অনেক রিক্সা-ভ্যান ই হাইওয়ে পুলিশ আটক করে নিয়ে গেলেও সবগুলো রিক্সা ভ্যান তারা তাদের ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে যায়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রিক্সা শ্রমিক সবুর জানান তারা বিভিন্ন এনজিও থেকে ধার-কর্জ করে একেকটি রিক্সা ভ্যান কিনতে ৩০থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ করেন। কিন্তু যাত্রীর অনুরোধ এবং পীড়া পীড়িতে মহাসড়কে ওঠার পর সেটি হাইওয়ে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে তাদের পথে বসতে হয়। কোন মামলা দেয়া হয় না। জরিমানাও করা হয় না। এত টাকা দিয়ে তৈরি এই রিক্সা ভ্যান গুলো নষ্ট করে দেয়া কতটা যুক্তিযুক্ত এবং কতটা মানবিক এই বিষয়টি ভেবে দেখার অনুরোধ জানান। অনেক রিক্সা-ভ্যান আলারা এই ভ্যান ফেরত না পেয়ে এবং এনজিও টাকা পরিশোধ করতে না পেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ বিষয়ে তারা সাংসদ শিমুলের কাছে স্থায়ী সমাধান চান।