নিজস্ব প্রতিবেদক
নাটোরে রথযাত্রা অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের অপমানের অভিযোগ করেন পূজা উদযাপন পরিষদের নাটোর জেলা সভাপতি ও পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি। উমা চৌধুরী জলি জানান, এর আগে রথযাত্রা উপলক্ষে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের সাথে বৈঠকে বিকেল সাড়ে তিনটায় একযোগে সকল রথ বের হবে এমনটি অনুরোধ করা হয়। পরবর্তীতে প্রচন্ড খরতাপে থাকায় আধা ঘণ্টা পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মোতাবেক নাটক বড়গাছা পালপাড়া এলাকার রথ যাত্রা উদ্বোধন উপলক্ষে আমি সহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মর্তুজা আলী বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা শাখার সহ-সভাপতি এডভোকেট প্রসাদ তালুকদার, দপ্তর সম্পাদক দিলীপ কুমার দাস, মাসুদুর রহমান মাসুদ ওমর শরীফ চৌহান সহ নেতৃবৃন্দ সেখানে যাই। বড়গাছা পালপাড়া রথযাত্রার উদ্বোধন শেষে নাটোর রাজবাড়ি শ্যামসুন্দর মন্দির এর সামনে রথযাত্রা অংশগ্রহণ করতে যাই। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক চিত্তরঞ্জন সাহা জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে রথ যাত্রা শুরু করে দিয়েছেন। এমনটি কেন করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে চিত্তরঞ্জন সাহা জানান তারা কারো জন্য অপেক্ষা করবেন না। কাউকে রথ যাত্রায় নিমন্ত্রণ করা হয়নি। সেই সঙ্গে তিনি জানান রথের দড়ি আমরা টানি তোমরা টানো না। এমন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মর্তুজা আলী বাবলু। তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, আওয়ামী লীগ একটি অসাম্প্রদায়িক দল। প্রতি বছর আমন্ত্রণ করার কারণেই আমরা সকল পূজা-পার্বণ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে থাকি। আমাদের এখানে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। রথযাত্রা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার জন্য। কিন্তু চিত্তরঞ্জন সাহা উদ্দেশ্যমূলকভাবে জোর করে আমরা পৌঁছানোর পূর্বেই রথযাত্রা শুরু করে আমাদের অপমানিত করেছেন। এ ব্যাপারে চিত্তরঞ্জন সাহা কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রথযাত্রা শুরু করা হয়েছে। কাউকে এখানে নিমন্ত্রণ করা হয়নি। কাউকে পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিমন্ত্রণ করেছেন এমনটাও আমাকে জানানো হয়নি। তাই জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে তারা রথযাত্রা শুরু করেছেন। দড়ি টানার ব্যাপারে উল্টো চিত্তরঞ্জন সাহা আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মর্তুজা আলী বাবলু কে দোষারোপ করেন। মেয়র কে ছাড়াই রথ যাত্রা শুরু করায় উপস্থিত ভক্তবৃন্দ এবং জনসাধারণ হতবাক হয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেছেন চিত্তরঞ্জন সাহা বরাবরই মেয়র কে অপমান করার জন্য এবং নিজেকে জাহির করার জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে থাকেন। বিকেল চারটায় শুরু করার কথা থাকলেও তড়িঘড়ি করে চিত্তরঞ্জন সাহা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহ রিয়াজ এবং পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন কে সাড়ে তিনটার মধ্যে ডেকে নিয়ে আসেন। এতে অনেকেই বিব্রত বোধ করেছেন।