নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রামঃ
নাটোরে এক ছেলেকে হত্যা ও বাবাসহ অপর ছেলেকে হাতপা বেঁধে ট্রাক থেকে মহাসড়কে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে দুটি মহিষ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে স্বজনেরা পাবনা সুগার মিল এলাকায় নিহতের ছবি ও কাপড় দেখে লাশটি সনাক্ত করেন। এর আগে বড়াইগ্রামের আগ্রাণ এলাকায় মহাসড়কে ফেলে যাওয়া দুজনকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৮) নাটোর সদর উপজেলার জয়নগর গ্রামের জান মোহাম্মদের ছেলে।
ছিনতাইয়ের শিকার জান মোহাম্মাদ জানান, গত রোববার তিনি দুই ছেলে সেলিম ও জাহাঙ্গীরকে নিয়ে রাজশাহীর সিটি হাটে যান। সেখানে পৌনে তিন লাখ টাকায় কেনা একজোড়া মহিষ নিয়ে তারা রাতে ট্রাকে বাড়ী ফিরছিলেন। পথে চালক বানেশ্বর এলাকায় ট্রাকে ৫/৬ জন যাত্রী তোলেন। কিছুক্ষণ পরেই এসব যাত্রীবেশি ছিনতাইকারীরা অস্ত্রের মুখে তিনি ও তার দুই ছেলের হাত-পা ও মুখ বেধে ফেলে। পরে বড়াইগ্রামের আগ্রাণ এলাকায় জান মোহাম্মাদ ও সেলিমকে ফেলে দিয়ে মহিষ দুটি ও জাহাঙ্গীরকে নিয়ে ট্রাকসহ ছিনতাইকারীরা চলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাদের দুজনকে উদ্ধার করলেও জাহাঙ্গীরের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সোমবার পাবনা সুগার মিল এলাকায় হাত-পা বাধা অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায়। কিন্তু দিনভর পরিচয় না পেয়ে আঞ্জুমানে মফিদুলের মাধ্যমে রাতে লাশটির দাফন করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের পরিধেয় কাপড় ও স্থানীয়দের মোবাইলে তোলা ছবি দেখে স্বজনেরা লাশটি জাহাঙ্গীরের বলে সনাক্ত করেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) হারুন অর রশিদ জানান, এ ঘটনায় বড়াইগ্রামে দুজনকে ফেলে গেলেও নিহত জনের লাশ পাওয়া গেছে ঈশ্বরদী থানা এলাকায়। এ কারণে বুধবার সেখানেই এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও দেখুন
নাটোরে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-১ আহত-৯
নিজস্ব প্রতিবেদক ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,নাটোর বগুড়া মহাসড়কের ডালসড়ক এলাকায় ৬টি ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনায় হোসাইন নামের এক ট্রাক …