নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোর সদর উপজেলায় স্বর্ণালী আক্তার সূচি(১৪) নামে এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তার বাবা মোঃ সেলিম (৫০) ও চাচা মোঃ শামীমকে (৩২) মারপিট, ঘরবাড়ী থেকে উচ্ছেদ ও প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে সদর উপজেলার গাওপাড়া ঢালান বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই শিক্ষার্থী সদর উপজেলার গাওপাড়া সেনভাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।
মামলা বিবরণে জানা গেছে, কথিত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য সিজান (১৬), হেদায়েত(১৬), তুষার(১৬), প্রান্ত(২০), শাওন (১৯), হৃদয় অভি (১৬), আজাহার(৫৩), কালাম (৫০)সহ অজ্ঞাত আরো বেশ কয়েকজন ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে যাওয়া- আসার পথে উত্ত্যক্ত ও কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি সইতে না পেরে ওই ছাত্রী তার বাবাকে জানায়। পরে ছাত্রীর বাবা সেলিম মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করলে ওই ছাত্রীর মুখে এসিড নিক্ষেপ ও অপহরণের হুমকি প্রদান করে বখাটেরা। তারপর থেকে সেলিম মেয়েকে সাথে নিয়ে বিদ্যালয়ে দিয়ে যাওয়া আসা। এরই এক পর্যায়ে মঙ্গলবার সকালে বাবা মেয়ে একসাথে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে গাওপাড়া ঢালান এলাকায় পৌছালে সিজান, হেদায়েত, তুষার তাদের পথরোধ করে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এসময় ওই ছাত্রীর বাবা উত্ত্যক্তে নিষেধ করলে বখাটেরা তাকে এলোপাতারি মারপিট করতে থাকে। পরে স্থানীয়রা বাবা মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়ী পাঠিয়ে দেয়। অভিযোগ আরো উল্লেখ করা হয়, এই ঘটনার প্রায় আধা ঘন্টা পর বখাটেরা দলবদ্ধ হয়ে পুনরায় ভুক্তভোগীর বাড়ি গিয়ে হামলা ও বাড়ী থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করে। পরে সেখানেও প্রতিবেশীদের সহায়তায় ভুক্তভোগীরা নিস্তার পান। এর পরেও থেমে থাকেনি বখাটেরা। এরপর ঢালান এলাকায় মাছ বিক্রির সময় ভুক্তভোগী ছাত্রীর চাচা শামীমকে মারপিট ও তার কাছে থাকা প্রায় ২৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে বখাটেরা। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং হৃদয় অভি জানান, পৃথক একটি মেয়ের বাবা প্রকৃত ইভটিজারের পরিবর্তে ভুলবশত নিরহ একটি ছেলে ধরে মারপিট করেছে। এখানে ভুলবুঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নাছিম আহমেদ জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।