নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের কানাইখালীতে মামলার সাক্ষী হওয়ায় অধ্যক্ষ শেখ মোঃ রকিবুল ইসলামের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১০জুলাই) দুপুরে মোঃ রেজাউল করিম, শেখ মোঃ রমিজুল করিম, শেখ আব্দুর রব, শেখ মোঃ আবু রায়হান ও ফয়সাল কবির রুম্মানসহ১০-১৫জন ক্যাডার বাহিনী নিয়ে অধ্যক্ষ রকিবুল ইসলামের বাড়ি মাপতে আসে। অধ্যক্ষ রকিবুল ইসলাম ঢাকায় অবস্থান করায় অভিযুক্তরা বাড়ির পেছনের অংশের দেয়াল ভাঙচুর করতে থাকে। সেসময় তাদের সাথে থাকা ১০-১৫জনের ক্যাডারবাহিনী বাড়ির জানালা ধাক্কাতে থাকে এবং বিভিন্ন গালিগালাজ ও হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এরপর অধ্যক্ষ রকিবুল ইসলামের স্ত্রী মুক্তা খাতুন দ্রুত নাটোর সদর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযুক্তরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। শেখ মোঃ রকিবুল ইসলাম জানান, একটি মামলার সাক্ষী হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই অভিযুক্তরা তাঁকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন।
তিনি আরো জানান, গতকাল (৯জুলাই) রোববার তিনি তাঁর নিজ প্রতিষ্ঠান বাহাদুরপুর কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজে যান। সেখানে তিনি অফিসকক্ষে বসার পরে চামারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মো. রাশিদুল ইসলাম, শেখ মো. আব্দুর রব সহ বেশ কয়েকজন লোহার রড, বাঁশের লাঠি, বাটাম সহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলার চেষ্টা চালায়। এ ব্যাপারে তিনি গতকাল সিংড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা রকিবুল ইসলামের বসতবাড়ি মাপার জন্য নাটোর পৌরসভায় আবেদন দিলে ১০জুলাই দিন নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ তা স্থগিত করে বলে জানান তিনি।
রকিবুল ইসলামের স্ত্রী মুক্তা খাতুন জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা তাঁর স্বামীর পৈতৃকসূত্রে প্রাপ্ত ও ক্রয়কৃত সম্পত্তির ওপর বসতবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি তাঁর পরিবার নিয়ে ভীতসন্ত্রস্ত।
নাটোর পৌরসভার কাউন্সিলর কোহিনূর বেগম পান্না জানান, অধ্যক্ষ রকিবুল ইসলাম ইসলাম সজ্জন মানুষ। তাঁর বাড়িতে হামলার ঘটনা মাত্র জানলাম, বিষয়টি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। নাটোর পৌরসভা কর্তৃক জমি পরিমাপের বিষয়টি স্থগিত করা হয়েছিলো বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নাসিম আহাম্মেদ বলেন, ঘটনাটি শুনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবার কোনো অভিযোগ করেনি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, আমেনা খাতুনের পাঁচ ছেলে শেখ মো.রাশিদুল ইসলাম, শেখ মো. রেজাউল করিম, শেখ মো. রমিজুল করিম, শেখ মো. আবু রায়হান, শেখ মো. আব্দুর রব তাকে ভরণপোষণ না দেওয়ায় ও বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করায় তিনি বাদী হয়ে গত ২৬জুন তারিখে সিংড়া আমলী আদালতে পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন, ২০১৩ এর ৫(১) মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় তিনি তার ছেলে অধ্যক্ষ শেখ মো. রকিবুল ইসলাম সহ পাঁচ জনকে সাক্ষী করেন। মূলত এই মামলার সাক্ষী হওয়ার পর থেকেই বিভিন্নভাবে হামলা ও হুমকির ঘটনা ঘটছে বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবারটি।
আরও দেখুন
পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!
নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …