নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ৷ তারপরও নির্যাতন থামছে না৷বিশেষ করে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বেশ প্রকট। নাটোরের বড়াইগ্রামের আহম্মেদপুর মহিউস সুন্নাহ হাফেজিয়া নামের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকের শারিরীক নির্যাতনের শিকার হয়েছে বেশ কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থী৷পড়া না পারার কারণে শিক্ষক এনামুলের অমানুষিক নির্যাতন সইতে না পেরে বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে ফোন করে ঘটনার বর্নণা দেন তারা।
কান্না জড়ানো কন্ঠে তাদের নির্যাতনের কথা শুনে রবিবার (১৩ জুন) রাতেই সেখানে ছুটে যান ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম৷ মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে একাধিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পান তিনি। আর শারিরীক নির্যাতনের অভিযোগ স্বীকারও করেছেন শিক্ষক এনামুল হক। সে নাটোর সদর এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
শারিরীক নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা বলেন, পড়া না পারার কারণে শিক্ষক এনামুল বেতের লাঠি দিয়ে প্রায়ই মারধর করে। রবিবারও একই রকম মারধর করে। পরে মারের যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন করে ঘটনার বর্নণা দেন তারা।
অভিযুক্ত শিক্ষক এনামুল হক মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, বারবার বোঝানোর পরও তারা পড়া দিতে না পারায় রাগান্বিত হয়ে তাদের বেত দিয়ে মারধর করেছি। আমি ভুল করেছি।
আহম্মেদপুর মহিউস সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসার সভাপতি শরিফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি ইউএনও স্যার আসার পরে জানতে পারলাম। শিক্ষার্থীদের শারিরীক নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় শিক্ষক এনামুলকে তিন মাসের জন্য বরখাস্ত করা হলো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, করোনাকালে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকার বন্ধ ঘোষণা করলেও এই প্রতিষ্ঠানটি গোপনে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। সেজন্য মাদ্রাসাটি বন্ধ ঘোষণা করা হলো। শুধুমাত্র এতিম শিশু ব্যাতিত এখানে অন্য কোন শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবেনা।
আরও দেখুন
পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!
নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …