নিজস্ব প্রতিবেক:
নাটোরে মাদকসেবনরত অবস্থায় ২২ জন মাদক সেবী আটক। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮ টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত নাটোর জেলার সদর থানাধীন একডালা এলাকায় র্যাবের একটি অপারেশন দল অভিযান করে ২২ জনকে মাদক সেবনরত অবস্থায় আটক করে।
র্যাব-৫, প্রেরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিপিসি -২(নাটোর), র্যাব-৫ কোম্পানি কমান্ডার এএসপি মাসুদ রানার নেতৃত্বে নাটোর সদর থানার একডালা গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সাদা কাগজে মোড়ানো ০৫ গ্রাম গাঁজা ও ২৫০ গ্রাম দেশীয় মদসহ ২২ জন কে হাতেনাতে আটক করা হয়।
এসময় আটককৃতদের মধ্যে ছিলেন, ১। মিঠু (৪৮), পিতা- মৃত আলাউদ্দিন , সাং- কানাইখালী চালপট্টি, ২। রওশান আলী (৬২), পিতা-মৃত সফির উদ্দিন ,সাং- উত্তর পটুয়াপাড়া, ৩। মোতালেব (৫৫), পিতা-মৃত শাহজাহান দেওয়ান, সাং- রামাইগাছি, ৪। শরিফুল ইসলাম (৪৫), পিতা- মৃত মোসলেম উদ্দিন, সাং- কানাইখালী, ৫। রিয়াজ (৩৫), পিতা- আঃ রাজ্জাক, সাং- চর তেবাড়িয়াা, ৬। হৃদয় (২২), পিতা- আব্দুল কুদ্দুস সাং- বারুঘাট, ৭। বিপ্লব (২৫), পিতা- আঃ লতিফ,সাং-নবীপাড়া নারায়নকান্দি, ৮। আনোয়ার হোসেন (৪৮) পিতা- আঃ সাত্তার সরকার, সাং-বাগরোম, ৯। মোঃ আবু সাইদ (৬২), পিতা- মৃত আলতাফ হোসেন, সাং-উত্তর পটুয়াপাড়া, ১০। সামছের জোয়ার্দ্দার (৪৬), পিতা- মৃত হাফিজুল জোয়ার্দ্দার সাং-তেবাড়িয়া, ১১। মামুন বিশ্বাস (২৭), পিতা- মৃত ইছাহাক বিশ্বাস, সাং-চন্দধকোলা, ১২। বাবু প্রমানিক(৩২), পিতা- বক্কর প্রামানিক, সাং-চন্দধকোলা, ১৩। ইউসুফ (৫০), পিতা- আবেদ আলী, সাং-লোচনগড়, ১৪। চান্দের মন্ডল (৪০), পিতা- মৃত কালু মন্ডল, সাং-আগদিঘা, ১৫। রাব্বানী মোল্লা (২৪), পিতা- মজনু মোল্লা, সাং- পশ্চিম হাগুরিয়া, ১৬। শরিফুল ইসলাম(৩৮), পিতা-মৃত এরাজ উদ্দিন শেখ, সাং- তেগাছি, ১৭। আজিজুল (২২), পিতা- সামাদ, সাং- হাইস্কুল গাংগুলিয়া, ১৮। ইমতাজ (৪৮), পিতা- মৃত হোসেন আলী, সাং- চৌধুরী বড়গাছা, ১৯। বিপ্লব কুমার দাস(৩৮), পিতা-মৃত নারায়ন চন্দ্র দাস, সাং-কালুর মোড়,সর্ব থানা- নাটোর, ২০। শামীম (২০), পিতা- আঃ কাদের, সাং- বড় শাওল, ২১। নাহিদ (২৩), পিতা- মোঃ আছের উদ্দিন, সাং- মাঝগ্রাম গোপালপুর, উভয় থানা- সিংড়া, ২২। তোফায়েল হোসেন (৫৬), পিতা- মৃত আলিম উদ্দিন, সাং- সোনাপাতিল, থানা- বাগাতিপাড়া, সর্ব জেলা- নাটোর।
এসময় তারা একত্রিত হয়ে মাদক সেবন ও বিক্রয়ের উদ্দেশে নিজ হেফাজতে রেখেছিল বলে সাক্ষীদের সামনে স্বীকার করে।
উপরোক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে নাটোর জেলার সদর থানায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।