নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরে ভেজাল লুব্রিকেন্ট ওয়েল তৈরির কারখানার মালিককে জরিমানা ও কারখানা সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গাড়ির পোড়া লুব্রিকেন্ট এর সাথে কিছু ফ্রেস লুব্রিকেন্ট ওয়েল ও রং মিশিয়ে তৈরি হতো লুব্রিকেন্ট।আর সেই লুব্রিকেন্ট সরবরাহ করা হতো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।নাটোর এমনই একটি নকল লুব্রিকেন্ট তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা(এনএসআই)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান এবং এনএসআইয যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে এজি লুব্রিকেন্ট এর মালিক জহুরুল ইসলামকে চল্লিশ হাজার ২শ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় কারখানাটি সিলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বনপাড়া মানিকপুর এলাকার বাসিন্দা এজি লুব্রিকেন্ট এর মালিক জাহুরুল ইসলাম নাটোর শহরের উপশহর এলাকায় বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলাম এর গোডাউন ভাড়া নেয়। এই গোডাউনে পোড়া লুব্রিকেন্ট ও ফ্রেস লুব্রিকেন্টের সাথে বিভিন্ন ধরনের রং মিশিয়ে তিনি নকল লুব্রিকেন্ট তৈরি করে আসছিলেন। এরপর সেগুলি বিভিন্ন গাড়ি কোম্পানির কাছে বিক্রি করতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাটোর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে লুব্রিকেন্ট কারখানার অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় নকল লুব্রিকেন্ট তৈরীর সরঞ্জাম জব্দ করে করেন তারা। পরে কারখানার মালিক জহুরুল ইসলামকে চল্লিশ হাজার ২শ টাকা জরিমানা করে কারখানাটি সিলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন এলাকাবাসী জানান, মূলতঃ কারখানাটি বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলামের। তিনিই অন্যের নাম ব্যবহার করে এই নকল লুব্রিকেন্ট ওয়েল তৈরি করে আসছিলেন। আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালতের করা জহুরুল ইসলামের জরিমানার টাকাও পরিশোধ করেন।
এব্যাপারে বিএনপি নেতা আমিনুল ইসলামের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।