নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত বুধবার নাটোরের বিভিন্ন স্থানে বিস্তীর্ণ এলাকার বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ায় চলতি মৌসুমের ইরিবোরো পাকা ও আধাপাকা ধান জমিতে শুইয়ে পড়েছে। এর ফলে কিছু কিছু পাকা ধান ঝড়ে পড়েছে। এতে করে বোরো ধানের আবাদ ক্ষতির মুখে পড়েছে।
নাটোর সদর উপজেলার মল্লিকহাটী মহল্লার কৃষক মোহাম্মদ সালাহ্ উদ্দিন বাবলু বলেন, বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ায় আমার জমির পুরো ধান শুইয়ে পড়েছে। বোরো ধান আবাদে খরচ বেশি, দাম কম, মজুর সংকট ইত্যাদি কারণে বেশি জমিতে ধান আবাদ করা বাদ দিয়েছি। এবার মাত্র আট বিঘা জমিতে ধান করেছি। ঝড়ের আশঙ্কায় এই জমির ধান কেটে বাড়িতে আনতে হাঁপিয়ে উঠেছি। দফায় দফায় ঝড়, বৃষ্টির আশঙ্কায় ধান জমিতে শুইয়ে পড়াসহ নানা কারণে ধানের ক্ষতি হয়েছে।
নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের মোহাম্মদ মোজাম্মেল সরদার জানান, বুধবারের বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ায় তার জমির ধান পুরোটাই শুইয়ে পড়েছে। ধান শুইয়ে পড়ায় আশানুরূপ ফলন পাবনা।
নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৮৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরা ধানের চাষ করা হয়েছে। ধানের ফলনও ভালো। ঝড়-বৃষ্টিতে জেলার চলনবিল অধ্যূষিত সিংড়া, নলডাঙ্গার হালতিবিল, নাটোর সদর, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলায় কিছু কিছু জমির পাকা ও আধাপাকা ধান শুইয়ে পড়েছে।” তবে ঝড়ে পড়া ধানের সংখ্যা খুবই কম। তবে ঝড়ের কারণে আম, পাট বা শাকসব্জির তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি বরং উপকার হয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও দেখুন
লালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সাংবাদিকের ছেলের মৃত্যু!
নিজস্ব প্রতিবেদক লালপুর,,,,,,,,,,,,,,,, নাটোরের লালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জিহাদ ইসলাম (১৫) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। …