নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নাটোর সদর উপজেলার দরাপপুর বাজার কমিটি নিয়ে দ্বন্দের জেরে অফিস ও দোকান ভাংচুর এবং পাল্টা মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে বাবু, পলাশ, কাবির হোসেন কাঙ্গাল, জাকির, সুরুজ, আজিজুল, নজরুল, জীবন হন। আহতদের মধ্যে কাবির হোসেন কাঙ্গাল জেলা যুবদলের সহ সভাপতি। অন্যদিকে বাবু ও পলাশ আওয়ামীলীগের অনুসারী বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, স¤প্রতি নাটোর সদর উপজেলার দরাপপুর বাজার কমিটি ও নৈশ প্রহরী নিয়ে দ্বন্দের জেরে আওয়ামীলীগ পন্থী হানিফ ভুঁইয়া হানুু ও কাবির হোসেন কাঙ্গালের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই এক পর্যায়ে সোমবার রাতে উভয় গ্রæপের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে পলাশ, বাবু, ও কাবির হোসেন কাঙ্গাল আহন হন। সংঘর্ষে আহত পলাশের মাথায় ১০ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে জানান নাটোর সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এই ঘটনার রেশ ধরে মঙ্গলবার দিনব্যাপী দরাপপুর বাজারে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরে মঙ্গলবার বিকাল থেকে হানু সমর্থকদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। প্রতিপক্ষের দাবি, আওয়ামীলীগের কর্মী সমর্থকরা বিকালে কাবির হোসেন কাঙ্গালের অফিসের সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করাসহ বাজারের কয়েকটি দোকান জোর করে বন্ধ করে দেন এবং কয়েকজন দোকানীকে মারপিট করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
দরাপপুর বাজারের পূর্বের কমিটির সভাপতি কাবির হোসেন কাঙ্গাল জানান, আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা সহ আমার অফিস, অফিসের সিসি ক্যামেরা ভাংচুর ও কয়েকজন দোকানীকে মারপিট করে দোকান বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। তিনি আরো জানান, বাজার কমিটিতে অধিকাংশ ব্যবসায়ীরা আমাকে সমর্থন করে আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করেন। বর্তমান কমিটির সদস্যদের অনেকেই ব্যবসায়ী নন। যা মূলত বৈধ নয়। আমার অফিস ভাংচুরের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
দরাপপুর বর্তমান কমিটির সভাপতি হানিফ ভুঁইয়া হানুু জানান, এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। আহত পলাশের ভাই নান্নু বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্তমান কমিটি বৈধ ও বাজার বর্তমান কমিটির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বর্তমানে বাজারে সুষ্ঠ পরিবেশ বিরাজ করছে।
নাটোর সদর থানার ওসি নাছিম আহমেদ জানান, এই ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।