নিজস্ব প্রতিবেদক
নাটোরে বাংলাদেশের বৃহত্তম কাঁচা চামড়ার আড়তে ঈদের পশুর চামড়া নিয়ে চলছে তুঘলকি কাণ্ড! একদিকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা গ্রাম গঞ্জ থেকে চামড়া কিনে নিয়ে এসে আড়ত গুলোতে বিক্রি করতে পারছেন না। অন্যদিকে আড়ত মালিকরা বলছেন টাকার অভাবে তারা চামড়া কিনতে পারছেন না। চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কাজে শ্রমিক সংকট রয়েছে। নারদ বার্তা প্রতিবেদক সরেজমিনে ঘুরে এসে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, নাটোরের চকবৈদ্যনাথ এলাকায় বাংলাদেশের বৃহত্তম কাঁচা চামড়ার আড়ত। ছোট-বড় মিলিয়ে ২শ এর অধিক আড়ত রয়েছে সেখানে। ঈদ মৌসুমে এখানে ৮শ থেকে হাজার কোটি টাকার চামড়া কেনাবেচা হয়। উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চল মিলে ৩০ টি জেলার চামড়া আসে সেখানে। ছোট বড় ব্যবসায়ী ছাড়াও বিভিন্ন মাদ্রাসা, লিল্লাহ বোর্ডিং এর প্রতিনিধিরাও চামড়া নিয়ে আসে এখানে বিক্রি করতে। সরকার চামড়ার দর বেঁধে দিলেও সেইটা মানছে না কেউই। অভিযোগের তীর একে অপরের দিকে। বেশিরভাগ আড়ত মালিক এবং নেতারা এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ।
প্রতিটি গরুর চামড়া ৬শ থেকে ৮শ টাকা দরে বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও এখানে বিক্রি হচ্ছে ১শ থেকে সর্বোচ্চ ৫শ টাকা পর্যন্ত। চামড়া পচনশীল বলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে লবণ না মাখালে চামড়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই আতংকিত হয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লোকসান দিয়েও চামড়া বিক্রি করছে।
নাটোরের চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান নারদ বার্তাকে জানান, ‘ঢাকা হাজারীবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তরের কারণে ট্যানারি ব্যবসায়ীদের অনেক টাকা বিনিয়োগ করতে হয়েছে। তাই তারা আমাদের গত বছরের পাওনা টাকা পরিশোধ করে নাই। এই টাকা না পাওয়ার কারণে আমরা এ বছরে চামড়া কিনতে পারছি না।’
সমস্ত সমস্যা নিরসন করে চামড়ার সুষ্ঠু দর নির্ধারণ করে এবং দ্রুত প্রক্রিয়াজাতকরণে সরকার সহায়তা করবেন বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেন।