রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / নাটোরে বঙ্গোজ্জ্বলে পুকুরের পানিতে ডুবে এক যুবকের মৃত্যু

নাটোরে বঙ্গোজ্জ্বলে পুকুরের পানিতে ডুবে এক যুবকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নাটোরে মধ্যরাতে ছিপ দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে আহসান হাবিব রিংকু(৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতেতে নিহতের বড় মামা মরদেহ উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এরপর ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।

নিহত আহসান হাবিব রিংকু নাটোর শহরের বঙ্গোজ্জ্বল এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের নাতি। রিংকুর বাবা মা জীবিত না থাকায় ছোটকাল থেকেই সে তার নানা মৃত আব্দুর রহমানের বাড়িতে মানুষ। বিয়ের পর তার স্ত্রীসহ এ বাড়িতেই থাকতো বলে জানা গেছে। রিংকুর শশুরবাড়ী এলাকা ময়মনসিংহে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকুরীর ব্যাপারে আজ শনিবার তার যাওয়ার কথা ছিল।

নিহত আহসান হাবিব রিংকুর মামা সুমন নারদ বার্তাকে জানায়, ‘শুক্রবার মধ্যরাতে আমি স্থানীয় স্বনির্ভর নাটোর-ইউসিসিএ লিঃ এর অভ্যন্তরের পুকুরে ঐ অফিসের নৈশ প্রহরী আলমগীরের সাথে ছিপ দিয়ে মাছ ধরছিলাম। এ সময়ে আমার ভাগ্নে রিংকু ফোন করে আমি কোথায় আছি তা জানতে চায়। তার পর মাছ মারার কথা বললে সেও আসতে চায়। আমি তখন আলমগীরকে বলি গেইট টা খুলে দেয়ার জন্য। আলমগীর গেইট খুলে দিলে রিংক পুকুরের কাছে আসে। এক পর্যায়ে বড়শীতে মাছ ধরলে জোরে খ্যাঁচ দিলে মাছ ছুটে যায় এবং ফাতা খুলে যায়। ছিপের ফাইবার দিয়ে ফাতা হাতে না পাওয়ায় রিংকু বলে আমি পানিতে নেমে ফাতা তুলে আনি, তোমরা একটু দূরে যাও কাপড় খুলে নামবো না হলে ভেজা কাপড়ে বাড়িতে ফিরলে সমস্যা হবে। আমি তখন আলমগীরকে নিয়ে আড়ালে চলে আসি। এ সময় আলমগীরের কথায় একটু দূরে পানির ট্যাপটা খোলা ছিল সেটা বন্ধ করে আবার আগের জায়গায় এসে দাঁড়িয়ে রিংকুকে ডাকি, কিরে রিংকু হলো? কিন্তু রিংকুর কোন সাড়া না পেয়ে পুকুরের কাছে গিয়ে রিংকুকে কোথাও দেখতে না পেয়ে বাড়িতে খবর দেই।’

খবর পেয়ে রিংকুর বড়মামা এস এম বিপ্লব পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দিয়ে বাগান বাড়িতে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ সেখানে উপিস্থিত হয় এবং সময় নষ্ট না করে পানিতে নামতে বলে। পরে বিপ্লব পানিতে নেমে রিংকুর মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিংকুকে মৃত ঘোষণা করে।

প্রতিবেশিদের কাউকে কাউকে বলতে শোনা যায় এ ব্যাপারে রিংকুর স্ত্রীর সন্দেহ, তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। রিংকুর স্ত্রীর মৌখিক অভিযোগের কারণেই ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়। পরে শনিবার বেলা এগারোটায় ময়না তদন্ত শেষে রিংকুর মরদেহ বঙ্গোজ্জ্বলের বাড়িতে নেয়া হয়।

পুলিশ জানায়, পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কেউ কোন অভিযোগ করেনি।

আরও দেখুন

নন্দীগ্রামে অবৈধভাবে পুকুর খনন করার অপরাধে একজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা 

নিজস্ব প্রতিবেদক নন্দীগ্রাম,,,,,,,,,,,,, বগুড়ার নন্দীগ্রামে অবৈধভাবে পুকুর খনন করার অপরাধে একজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা …