নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরে প্রাণ কোম্পানীর এ্যাডমিন ম্যানেজার মো. মহসিন আলীকে হাতুড়ি, রড ও স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় আজ রোববার(৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নাটোর সদর থানায় প্রাণ আরএফএল গ্রুপের পক্ষে মো. হাসেম নামে এক কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার সকালে নাটোর সদরের কাফুরিয়ার টাওয়ার মোড় এলাকায় তার উপর পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে বলে জানান, প্রাণ আরআফএল গ্রুপের সিনিয়র সিপিইউ, সিপিডি মো. আশরাফুল ইসলাম। আহত মো. মহসিন আলী নাটোর সদরের কাফুরিয়া এলাকার মো. শাহাদতের ছেলে। তিনি এখন গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
প্রাণের লিগ্যাল এইডের কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, মহসিন আলী আমাদের প্রাণ ফাক্টরির এ্যাডমিন ম্যানেজার ছিলেন। তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে প্রাণে চাকরি করছেন। গতকাল সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে অফিসে যাওয়া পথে কাফুরিয়ার টাওয়ার মোড় এলাকায় ৫ থেকে ৭ জন হেলমেট পড়া দুর্বৃত্তরা তার উপর হাতুড়ি, রড ও স্ট্যাম্প দিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। এরপর এলোপাথাড়ি হামলায় মহসিন গুরুতর আহত হন।,
তার অবস্থা খুবই গুরুতর। এরপর স্থানীয় এক ভ্যানচালক তাকে নিকটবর্তী আমজাদ খান মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হয় ।পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন। তিনি আরো জানান, আমরা দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। কারা এই হামলা চালিয়েছে জানতে চাইলে প্রানের এই কর্মকর্তা বলেন, মারধরের আগের দিন প্রাণ এগ্রো কোম্পানি লিমিটেড একডালা এলাকার স্থানীয় বেশ কয়েকজন তাকে হুমকি ধামকি দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, এই এলাকায় প্রাণ হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। এমন ঘটনায় প্রাণের স্টাফদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় এক যুবক জানান, প্রাণ এগ্রো লিমিটেড এ খৈল সরবরাহ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে বিরোধ চলে আসছিল মহসিন এর। ইউনি ও স্থানীয়রা হামলা চালাতে পারে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, প্রাণ এগ্রো কোম্পানি লিমিটেডের এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ এসেছে। অভিযোগ কে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন , তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।