নাঈমুর রহমান:
নাটোর জেলা প্রশাসনের কর্মদক্ষতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে জনপ্রশাসন ও সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে আরো সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপিত হবে এবং প্রশাসন জনসেবার কেন্দ্রস্থলে পরিণত হবে।
বৃহষ্পতিবার দিনব্যপী নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ নেন সরকারের এই অতিরিক্ত সচিব।
সকাল সাড়ে ১০টায় হুমায়ুন কবির খোন্দকার বাগাতিপাড়া উপজেলা চত্বরে শিশুদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার ‘স্নেহ’র উদ্বোধন করেন। সরকারি চাকুরীজীবী মায়েদের শিশুর জন্য চিন্তামুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের উদ্যোগে এই ডে কেয়ার সেন্টার চালু হলো।
এরপর বিভাগীয় কমিশনার উপজেলার সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় তিনি করোনা সংকটকালে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকান্ডের বিবরণ শোনেন। তিনি কৃষক ও সাধারণ ভোক্তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর করেন। জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ করোনাকালীন প্রশাসনের জনকল্যানমুখী নানা উদ্যোগের বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনারকে অবহিত করেন। এসময় বিভাগীয় কমিশনারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়। একই সময় কমিশনার হুমায়ুন কবির খোন্দকার উপজেলা ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে ভূমি সংক্রান্ত সেবাসমূহ আরো বেশি স্বতস্তিয়াদক করতে সার্বিক দিক নির্দেশনা প্রদান করে।
দুপুরে ফাগুয়ারদিয়ার ইউনিয়নে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে চলমান গৃহনির্মাণ কাজ পরিদর্শনে যান বিভাগীয় কমিশনার। এসময় নির্মাণাধীন বেশ কয়েকটি বাড়ি পরিদর্শন করেন এবং নির্মাণ উপকরণের গুণগত মান নিয়ে সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগীদের মতামত শোনেন।
এসময় সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবীর খোন্দকার জানান, আগামী ১৫ই জানুয়ারির মধ্যে গৃহ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। সমগ্র নির্মাণ প্রক্রিয়াই প্রশাসনিক নজরদারির মধ্যে রয়েছে।
সবশেষে বিভাগীয় কমিশনার দয়ারামপুর ইউনিয়নের বড়াল তীরবর্তী একটি আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরত ৮০টি পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র ও শুকনো খাবার বিতরণ করেন।
পরিদর্শন কালে অনান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার ফরহাদ হোসেন, বাগাতিপাড়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম গকুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল, অফিসার ইনচার্জ নাজমুল হকসহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ।