বিশেষ প্রতিবেদক:
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে একক আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উদযাপনের কারণে ইউপি চেয়ারম্যানের সমালোচনায় পরেছেন ৪নং পিপরুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী সরদার। তিনি ইউনিয়ন পরিষদে দলীয় আলোচনা ও দোয়া মোনাজাতে অংশগ্রহণের পর নেতাকর্মীদের নিয়ে একক আয়োজনে কেক কেটে সমালোচনায় এসেছেন।
গতকাল ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদে আলোচনা ও মোনাজাত সভার আয়োজন করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। এই আলোচনা সভায় সভাপতি হিসাবে বক্তব্য রাখেন পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কলিমুদ্দিন প্রামাণিক। সভাপতির বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি একক আয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের কেক কাটার সমালোচনায় দলীয় চেইন অব কমান্ড না মানাসহ, গ্রুপিংয়ের অভিযোগ তোলেন ৪নং পিপরুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে।
চেয়ারম্যান বলেন, আজকে আমার জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। উনি (মোহাম্মদ আলী) দলের সেক্রেটারী, ওনার অনেক দায়িত্ব আছে। উনি আজকে আলাদাভাবে কেক কাটলেন কোন অধিকারে? কোন লিডারের পরামর্শে? কোন লিডারের হুকুমে আজকে সেন্টারে (মোহাম্মদ আলীর নিজস্ব কার্যালয়) আওয়ামী লীগ নেত্রীবৃন্দকে আহ্বান করে?
তিনি আরও বলেন,”দলে থাকতে হলে দলের চেইন অব কমান্ড মানতে হবে। আমি দল করবো দলের চেইন অব কমান্ড মানবোনা, আমি সুযোগ সন্ধানী হবো। আমি যদি দলের চেইন অব কমান্ড না মানি তবে সে শিক্ষা দেবার অধিকার আমার উপরের নেত্রীবৃন্দ আছেন।”
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সরদার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান কলিমুদ্দিনের এই অভিযোগ খারিজ করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন।
চেয়ারম্যানের অভিযোগের সূত্রে নারদ বার্তার এক প্রশ্নের জবাবে পিপরুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন,”প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানের বিষয়ে তিনি আমাকে অবহিত করেন নাই। তিনি(চেয়ারম্যান) কাওকে ডেকে কোনো মিটিং করেন নাই। আমি মনে করলাম যেহেতু উনি মিটিং করেন নাই এবং প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন উপলক্ষ্যে কোনো পদক্ষেপ নেন নাই। অন্ততপক্ষে আমার ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন হোক সেই চিন্তা-চেতনা থেকেই আমি আওয়ামী লীগ, যুগলীগ, ছাত্রলীগ তথা চেয়ারম্যান সাহেবকেও দাওয়াত দিয়ে পিপরুল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালনের উদযোগ গ্রহণ করি।”
দলীয় চেইন অব কমান্ড না মানার অভিযোগের বিষয়ে মোহাম্মদ আলী দাবী করেন,”নিছক অন্যায়ভাবে সে আমাকে দোষারোপ করেছে বলে আমি মনে করি। এতে আমার কোন দলীয় চেইন অব কমান্ডের কোন রকম ঘাটতি হয়নি, কোন ত্রুটি হয়নি। আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমি দলের চেইন অব কমান্ড সবসময় মেনে চলি। বরং চেয়ারম্যান সাহেব আগামী নির্বাচনে আমার প্রার্থীতার প্রচারোণার জন্য আমাকে প্রতিপক্ষ ভেবে ব্যক্তিগত আক্রোশে প্রতিপক্ষ পরায়ণ হয়ে এই ভিত্তিহীন অভিযোগ করেন।”
আরও দেখুন
বিএনপির সাবেক এমপি আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে হামলা-দখলের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ,,,,,,,,,,চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক …