নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরে পূর্ব বিরোধের জেরে সোনাতন চন্দ্র দাস (৫৬) নামে এক কৃষককে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানা পুলিশকে এজাহার গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার সকালে নলডাঙ্গা আমলী আদালতের বিচারক সুমন আলী এই নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মোছাঃ রাশিদা খাতুন। এর আগে গত ৪ মে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার গোয়ালঘাট এলাকায় সোনাতন চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষরা। ঘটনার পরে প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীর স্ত্রী আগমনি দাস বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে অভিযোগ গ্রহণ করেনি পুলিশ। পরে রবিবার সকালে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী। ঘটনার পর থেকেই ভুক্তভোগী সোনাতন নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভুক্তভোগী সোনাতন চন্দ্র নলডাঙ্গা উপজেলার গোয়ালঘাট এলাকার মৃত সতীশ চন্দ্র দাসের ছেলে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও মামলার এহাজার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ মে রাত ৮টার দিকে পূর্ব সোনাতন স্থানীয় ইমান বাজারে ধান বিক্রি করে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ী ফিরছিল। এসময় সে গোয়ালঘাট এলাকায় পৌছালে পূর্ব বিরোধের জেরে একই এলাকার রনি (৩৫), তার সহযোগী আফ্রিদি (২৫), আশিকুর রহমান (২৫), তুষার (২২), আতাউর (৪৬), সোহাগ আলী (২৪) এবং রনজু প্রাং (৩৫) লোহার রড, হাতুড়ি, লোহার পাইপ, ক্রিকেট ব্যাট ও দেশীয় হাসুয়া দিয়ে সোনাতনের উপর হামলা চালায়। এতে সোনাতন রক্তাক্ত জখম হওয়া সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। এছাড়া সোনাতনের পকেটে থাকা ৬০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে স্থানীয়রা তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পর ১৫ দিন ধরে তিনি ২ নং ওয়ার্ডের ২৮ নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগীর স্ত্রী আগমনি দাস জানান, ঘটনার পরে নলডাঙ্গা থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে বাধ্য হয়ে রবিবার আদালতে অভিযোগ দায়ের করি। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে প্রতিপক্ষরা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় বলে জানান তিনি। এছাড়া, এই ঘটনায় প্রতিকার ও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মোছাঃ রাশিদা খাতুন জানান, বাদীর করা অভিযোগ আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালত থানা পুলিশকে আগামী ২৬ মে এর মধ্যে এজাহার দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে মামলার ১ নং বিবাদী মো রনির মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে মামলার ৭ নং অভিযুক্ত রনজু প্রাং জানান, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এই ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই।
নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মনোয়ারুজ্জামান জানান, আদালতের নির্দেশনার কাগজপত্র এখনও হাতে পায়নি। পরবর্তীতে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে থানায় মামলা না নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এর সদুত্তোর দিতে পারেননি তিনি।