রবিবার , ডিসেম্বর ২২ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / নাটোর সদর / নাটোরে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় অধ্যাপক জেল হাজতে

নাটোরে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় অধ্যাপক জেল হাজতে

নিজস্ব প্রতিবেদক: নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সভাপতি ড. সঞ্জয় কুমার সরকারকে জেলে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) নাটোর জর্জ কোর্টে বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। ‘২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে’র ১১ (গ) ও ৩০ ধারায় তার স্ত্রীর করা মামলার শুনানিতে জামিন নামঞ্জুর করে এই আদেশ দেয় আদালত। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালের মার্চ মাসে সঞ্জয় ও জয়ার বিয়ে হয়। এসময় বাদীর (জয়া) কল্যাণের কথা চিন্তা করে তার বাবা নগদ ২৫ লাখ টাকা, ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজসহ প্রয়োজনীয় যাবতীয় ফার্নিচার দেয় সঞ্জয়কে। তবে বিয়ের পর থেকেই আরো টাকার জন্য চাপ দেওয়ায় তাদের উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য হয় । এরই জেরে জয়া সাহা বিভিন্ন সময় তার স্বামী সঞ্জয় সরকার দ্বারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। একইসঙ্গে জয়াকে যৌতুকের টাকার জন্য মারধর শুরু করে সঞ্জয়। ২০২৩ সালে জুনে আবারও ১০ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। পরে জয়া টাকা আনতে অপারগতা জানালে তাকে ও তার সাড়ে চার বছরের শিশু সন্তানসহ জোরপূর্ব শ্বশুরবাড়ি নাটোরে রেখে যান সঞ্জয়। তারপর থেকে উভয়েই একবছরের বেশি সময় আলাদা থাকছেন। রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান বলেন, “সঞ্জয় সরকারের স্ত্রী তার নামে যৌতুক ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেছিলেন। মামলাটি পরে জুডিশিয়াল তদন্ত হয়। তদন্তে ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে যৌতুক নেয়া, তাকে মারধর, নির্যাতনের সত্যতা পায়। পরে বিজ্ঞ বিচারক সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন। তখন সে এসে আপোষের কথা বলে অস্থায়ী জামিন নিয়ে যায়। আজকে মামলার পরবর্তী ডেট ছিল, কিন্তু আজ পর্যন্ত আপোষ না করায় আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।’’ এ বিষয়ে ড. সঞ্জয় কুমারের আইনজীবী এ কে এম শাহজাহান কবীর বলেন, “আমার জানা মতে তিনি তার স্ত্রীকে গ্রহণ করতে চান। কিন্তু তার স্ত্রী তার সঙ্গে সংসার করতে রাজি হন না। এটা দ্রুত জামিন যোগ্য মামলা না হলেও আপোষযোগ্য মামলা। আমরা আগামী রবিবার আবারো জামিনের চেষ্টা করবো।’’ জয়ার বাবা রতন সাহা জানান গত বছরের নভেম্বর মাসে জয়াকে নাটোরের রেখে যায় সঞ্জয়। এরপরে বারবার তাগাদা দিলেও টাকা না দিলে জয়াকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যাবে না বলে জানান। এমনকি সঞ্জয়ের বাবা সুশান্ত সরকারের সাথেও যোগাযোগ করলে তারা অপারগতা প্রকাশ করেন। ড. সঞ্জয় কুমার সরকারের স্ত্রী জয়া সাহা বলেন, “ এত নির্যাতন করে আবারো যৌতুকের টাকা দিয়ে ওই সংসারে ফিরলে তার নিরাপত্তা কোথায়। এর আগেও সঞ্জয় তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বলেছে “এমন ভাবে হত্যা করব কেউ বুঝতেই পারবে না”। আমার ও আমার সন্তানের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অমানবিক নির্যাতনের ফলেই তাকে জেল হাজতে যেতে হয়েছে। আমি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। আমি তার উপযুক্ত শাস্তি চাই।’’ এছাড়াও সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মেয়ে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি এবং বহু নারীর সাথে তার প্রেম এবং অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় সম্পাদক প্রকাশ হয়েছে

আরও দেখুন

লালপুরে কুরেছান বেগমের ইন্তেকাল 

নিজস্ব প্রতিবেদক লালপুর,,,,,,,,,,,,,,দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার নাটোরের লালপুর প্রতিনিধি ও মডেল প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সাহীন …