নিজস্ব প্রতিবেদক:
নিজ ক্যাম্পাসে ট্রাক চাপায় নিহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ছাত্র হিমেলের মরদেহ দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে নাটোর শহরের কাপুড়িয়া পট্টি নানাবাড়ি এলাকায় পৌছে।মরদেহের সাথে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলী ও শিক্ষার্থীরা।মরদেহ নেয়া হয় স্থানীয় একটি স্কুল প্রাঙ্গনে।এসময় নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা,পৌর মেয়র উমা চৌধুরী ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।শিক্ষার্থী হিমেল নিহত হওয়ার ঘটনায় তার নানার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তার মায়ের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। ফাহাদের নানার বাড়ি নাটোর শহরের কাপুড়িয়াপট্রি মহল্লায় । সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যরা কান্নাকাটি করছেন। তার মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। ২০১৭ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর স্কুল,কলেজ নাটোরেই শেষ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হোন ।
পরিবারের সদস্যরা বুঝে উঠতে পারছেন না, এত মেধাবী, শান্ত ছেলেটিকে এভাবে মারা যাবে কেউ মানতেই পারছেনা ।হিমেলের মরদেহ কাপুড়িয়া পট্টি এলাকায় পৌছার সাথে সাথে শুরু হয় কান্নার রোল।স্বজনদের কান্নায় ভাড়ি হয়ে ওঠে চারপাশ।পরে উপচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলী নিহত হিমেলের মা ও নানার সাথে দেখা করে তাদের শান্তনা দেন। এসময় হিমেলের মা মনিরা আক্তারের হাতে ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেন উপাচার্য।একই সাথে তিনি সকল সহযোগিতার আশ্বাস দেন।পরে উপাচার্য সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ সহ নিহতের পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতার কথা জানান। শিক্ষার্থীরা জানান,বিশ্ব বিদ্যালয় প্রশাসন যদি দাবি পূরণ না করে তাহলে শিক্ষার্থীরা আবারো আন্দোলন করবে।
এদিকে জানাযার সময় পরিবর্তন করে বাদ যোহর নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। জোহর নামাজ শেষে শহরের বাসর্টামিনাল জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাযা শেষে তাকে কেন্দ্রীয় গাড়িখানা কবরস্থানে দাফন করা হয় ।