নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় একটি ধর্ষণ মামলায় সুজন রানা মুকুল নামের একজনকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ আব্দুর রহিম। মামলায় মাহমুদুল হাসান এবং মোঃ সুজন নামের দুজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। আজ ৪ মার্চ বেলা এগারোটার দিকে এই রায় ঘোষণা করা হয়। দণ্ডিত সুজন রানা মুকুল কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার চরপাড়া গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে।
নাটোর জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান জানান, ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সুজন রানা মুকুল মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিক্টিমকে পার্শ্ববর্তী একটি আম বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুজন রানা মুকুল ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এ সময় তাকে সহযোগিতা করে মাহমুদুল হাসান এবং মোঃ সুজন। পরে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দিয়ে তারা সেখান থেকে চলে যায়। পরে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে ৩০ ডিসেম্বর বাগাতিপাড়া থানায় সুজন রানা মুকুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং তাকে সহযোগিতার জন্য মাহমুদুল হাসান এবং সুজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় যুক্তি তর্ক শেষে সাড়ে আট বছর পর আসামিদের অনুপস্থিতিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত অপ্রাপ্তবয়স্ক সুজন রানা মুকুলকে ১০ বছরের আটকাদেশ দেন এবং অপর দুইজনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেন।