সোমবার , ডিসেম্বর ২৩ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / নাটোরে জন্মাষ্টমী উদযাপন অনুষ্ঠানে করোনা থেকে মুক্তি চেয়ে প্রার্থনা

নাটোরে জন্মাষ্টমী উদযাপন অনুষ্ঠানে করোনা থেকে মুক্তি চেয়ে প্রার্থনা

বিশেষ প্রতিবেদক:
নাটোরে শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি জন্মাষ্টমী যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার উদযাপন কলেছেন ভক্তরা। একই সাথে করোনাভাইরাসের মহামারীতে জীবনহানীসহ আর্থিক-সামাজিক দুর্বিপাক থেকে মুক্তির জন্য স্রষ্টার কৃপাদৃষ্টি প্রার্থনা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

মঙ্গলবার নাটোর শহরের রীঁশ্রীশ্রী জয়কালীমাতার মন্দির প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাটোর পৌরসভার মেয়র ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নাটোরের সভাপতি উমা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহরিয়াজ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নাটোরের সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট প্রসাদ কুমার তালুকদার, জয়কালীমাতার মন্দির কমিটির সভাপতি খগেন্দ্রনাথ সাহা, সুবল কুমার রায় প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

প্রতিবছর দেশের সনাতন হিন্দু সম্প্রদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে জন্মাষ্টমী পালন করেন। তবে এবার করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান যথারীতি ধর্মীয় রীতি অনুসরণ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা-অর্চনার মাধ্যমে পালিত হয়েছে। সকল অনুষ্ঠানমালা নাটোর জয়কালী মাতার মন্দির সহ বিভিন্ন মন্দিরে সীমাবদ্ধ ছিল। সমাবেশ, শোভাযাত্রা বা মিছিল এবার হয়নি।
এবছর মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৬ মিনিট থেকে শুরু করে আজ বুধবার বেলা ১১টা ১৬ মিনিট পর্যন্ত জন্মাষ্টমী তিথি থাকায় অনেকে এদিনও জন্মাষ্টমীর আনুষ্ঠানিকতা পালন করবেন। সকাল থেকে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে জয়কালী মাতার মন্দির প্রাঙ্গণে শুরু হয় গীতাযজ্ঞ। রাতে অনুষ্ঠিত হয় কৃষ্ণপূজা। গীতাযজ্ঞ পরিচালনা করেন রূপা সাহা।

তিনি বলেন, ভগবান যুগে-যুগে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্য আবির্ভূত হয়েছেন। এই করোনাভাইরাস মহামারীকালে আমরা আজ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আরাধনা করছি। তিনি জরা, ব্যাধিমুক্ত এক পৃথিবী আমাদের দেবেন। আমাদের দেশসহ পৃথিবীর সব মানুষকে করোনা মহামারি থেকে রক্ষা করবেন। “অজ্ঞানতার অন্ধকার থেকে তিনি গোটা বিশ্বকে মুক্ত করবেন। মহামারীকাল শেষ হলে মানুষে মানুষে প্রীতি ও সদ্ভাবে গোটা পৃথিবী সুন্দরতম হয়ে উঠুক, আজ সে প্রার্থনা করেছি,” বলেন তিনি।
অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল ভজন, দুপুরে মধ্যাহ্নে প্রসাদ বিতরণ, রাত ৭ টা ৪০ মিনিটে গুরু মহারাজের বাণীবর্চন ও রাত ৮ টায় শ্রীকৃষ্ণ পূজা। বিভিন্ন মঠ মন্দির ছাড়াও আজ রাতে ঘরে-ঘরে অনুষ্ঠিত হয় কৃষ্ণ পূজা।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সাড়ে পাঁচ হাজার বছরেরও আগে দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে অশুভ শক্তিকে দমন করে সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠায় ধরাধামে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল। তাঁর আবির্ভাব বিশ্বের ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা করে। নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষকে রক্ষায় তিনি পরিত্রাতার ভূমিকা পালন করেন, অন্ধকার সরিয়ে পৃথিবীকে আলোয় উদ্ভাসিত করেন। তাদের আরো বিশ্বাস, তিনি অত্যাচারী ও দুর্জনের বিরুদ্ধে শান্তিপ্রিয় ভালো মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হন। দুষ্টের দমন করতে একই ভাবে যুগে-যুগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীতে আসেন এবং সত্য ও সুন্দর ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেন।

আরও দেখুন

পেঁয়াজের চারা পুড়ে শেষ-কৃষকের মাথায় হাত! জমিতে এখন শুধুই ঘাস!

নিজস্ব প্রতিবেদক নলডাঙ্গা,,,,,,,,,,,,,,,,,জমিতে নষ্ট হওয়া পেঁয়াজের চারা দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি জমি লিজ নিয়ে …