শুক্রবার , নভেম্বর ১৫ ২০২৪
নীড় পাতা / জেলা জুড়ে / নাটোরে গ্রামবাসীর সহায়তায় নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে প্রতিবন্ধীর শরিফুল

নাটোরে গ্রামবাসীর সহায়তায় নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছে প্রতিবন্ধীর শরিফুল


নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের চক আমহাটিতে গ্রামবাসীর আর্থিক সহায়তায় ফিরেছে ১হাত হারানো প্রতিবন্ধী শরিফুল ইসলামের বাঁচার স্বপ্ন। সিলভার কারখানায় হাওয়া মেশিনে কাজ করা অবস্থায় হাত হারানো পর চাকুরীচ্যুত হওয়ায় সংসারের নেমে আসে অভাব-অনটন। সমাজ সেবা অফিসের মাধ্যমে তাকে একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দিলেও সামান্য ভাতার টাকায় সংসার চালানো দুসাধ্য হয় এই কারণে স্ত্রী-সন্তান অন্যত্র চলে গেলে একবেলা খেয়ে না খেয়ে চলত তার জীবন। গ্রামবাসীর অর্থিক সহায়তায় একটি দোকানই প্রতিবন্ধীর জীবনে নতুন অধ্যায়ের শুরু হয়েছে। জেগেছে বাঁচার স্বপ্ন।

নাটোর সদর উপজেলার ১নং ছাতনী ইউনিয়নে চক আমহাটি গ্রামে মৃত আজগর আলীর ছেলে.শরিফুল ইসলাম। কিশোর বয়সে বাবা-মা কে হারায়। সিলভার কারখানায় সামান্য বেতনে বাবার রেখে যাওয়া ২শতক জমির উপর একটি  খড়কুটা ঘরে মাকে নিয়ে বাস করতেন শরিফুল। এক পর্যায়ে বিয়ে করে পুত্র সন্তানের বাবা হন। ভালই চলত তাদের সংসার। সংসারে নেমে আসে তিন বছরের ঝড়। এই ঝড়ে মাকে হারান। কারখানায় কাজ করতে গিয়ে হাত হারিয়ে চাকরীচ্যুত হন। চিকিৎসা করতে সংসারের সমস্ত আসবাবপত্র বিক্রি ও ঋণগ্রস্ত হন। অভাব অনটনের কথা কাউকে বলতেও পারি না। একবেলা খেয়ে কখনও না খেয়ে চলে  সংসার। অভাবের তারোনায় তার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে অন্যত্র চলে যায়। সব হারিয়ে নিরুপায় হয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয় সাহায্যের জন্য। সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেন এলকাবাসী।

এলাকাাসির পক্ষ থেকে সাহায্যকারী হাবিবুল্লাহ পাটোয়ারী জানান, শরিফুলকে সাহায্যর জন্য এগিয়ে আসে নিজ এলাকার হাবিবুল্লাহ পাটোয়ারী। এক হাত হারানোর পর শরিফুল ইটের ভাটায় কাজ করতো। এক হাত না থাকায় সেই কাজও হারায়। হাবিবুল্লাহ পাটোয়ারী নিজ এলাকা মুক্তিযোদ্ধা ,বন্ধুবান্ধব সহ মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বাঁশ ,কাঠের জন্য গাছ, ইট , ৩০ বস্তা  সিমেট চেয়ে, ,এলাকার দোকানদার ,ব্যবসাযীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে একটি টিউবয়েল , ৪বান্ডীল টিন সংগ্রহ করে একটি সোয়ার ঘর তৈরী করা হয় কিন্ত ঘরে থাকার মত আসবাবপত্র নেই তিনি সমাজের বৃত্তবানদের কাছে সাহায্যর আবেদন করেন ও ছোট্র একটি চায়ের দোকান তৈরী করে দেয়।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও সাবেক মেম্বার সহ গর্নমান্যব্যক্তি বর্গ সবাই মিলে হাবু পাটোয়ারীর মাধ্যমে অর্থ সংগ্র করে এই পর্যন্ত করে দিয়েছে। এখন তাদের দাবী তার থাকার ঘরে সোয়ার জন্য একটি চৌকি বা আসবাবপত্র সংগ্রহের জন্য ধন্যদ্ধ ব্যক্তিদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন।

জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর  উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শরিফুল ইসলাম এক হাত হারিয়ে যখন প্রতিবন্ধী হয় তারপরে যখন অর্থ উপার্জনে অক্ষম হয়, ঠিক তখন তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। সমাজসেবা অফিসে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করলে আমরা তাকে ভাতার ব্যবস্থা করে দিই কিন্তু মাসিক ভাতা মাত্র ৭শত টাকা দিয়ে কি হয়। এলাকাবাসি শরিফুলের দুঃখ লাঘবে একটি দোকান করে দিয়ে তাকে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন করে দিয়েছে। এই কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামকে ৫% হারে সুদে লোন দেয়ার জন্য আহবান করেন। এবং সমাজের বৃত্তবানদেন তাদের পাশে দাঁরানো আহবান করেন।

আরও দেখুন

রাণীনগরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারপিট করে  ১৫ভরি স্বর্ণের ও 

১০০ভরি চান্দির গহনা ছিনতাই নিজস্ব প্রতিবেদক রাণীনগর,,,,,,,,,,  নওগাঁর রাণীনগরে দোকান থেকে বাড়ী ফেরার  পথে পথ …