নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজ ছাত্রী অপহরণ মামলায় আতিক হাসান(২২) ও সুমন আলী(২৩), টিপু সুলতান(৩৩) এবং আবু জাফর(২৫) নামে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহিম আসামীদের উপস্থিতে এই রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আতিক হাসান গুরুদাসপুর উপজেলার নারায়নপুর এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে ও একই এলাকার আশরাফ হোসেন মাস্টারের ছেলে সুমন আলী ও টিপু সুলতান আর আবু জাফর হলেন সাত্তার আলীর ছেলে।
অপহরনের স্বীকার কলেজ ছাত্রী স্থানিয় একটি কলেজের শিক্ষার্থী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১০ আগষ্ট সকালে নিজ বাড়ি থেকে পায়ে হেটে উত্তর নাড়ি বাড়ি এলাকায় প্রাইভেট পড়তে যায় ওই ভিকটিম। এসময় রাস্তার পার্শে আতিক হাসান, সুমন আলী, টিপু সুলতান ও আবু জাফর ছাত্রীটিকে জোর করে অপহরন করে সাদা মাইক্রোবাসে করে পালিয়ে যায়। এঘটনায় তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখঁজি করে ব্যর্থ হয়। পরে অপহৃতের চাচা আমিরুল ইসলাম বাদি হয়ে চারজনের নামে গুরুদাসপুর থানায় হাজির হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনার ১০দিন পরে ২০ আগস্ট নাটোর জেলা ও দায়রা জজ কোর্ট চত্তর থেকে পুলিশ অপহৃত কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
নাটোর জজ কোর্টের স্পেশাল পিপি আনিসুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের ৯ বছর পর আদালত দুই আসামি আতিক হাসানকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(১) ধারায় যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা জরিমান আবার আরেকটি ধারা ৭ এ যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। অপর তিন আসামী সুমন আল, টিপু সুলতান ও আবু জাফরকে যাবজ্জীবন ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমান আদেশ দেন। জরিমানার টাকা অপহৃত পাবে উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়।