নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের বাজারে কন্দ জাতের নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। এতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দর ১০ থেকে ১২ টাকা কমে গেছে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে দাবি কৃষকদের। এদিকে বাইরের দেশ থেকে আমদানি করায় পেঁয়াজের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।বিগত দুই সপ্তাহ ধরে নাটোর জেলার বৃহত্তম পেঁয়াজের হাট নলডাঙ্গায় কন্দ জাতের নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ শুরু হয়েছে। শুরুতে প্রতি কেজি নতুন পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও গত সপ্তাহে তা কমে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে চলতি সপ্তাহে প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ১২ কমে যাওয়ায় বর্তমানে ২৩ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে কৃষকরা জানিয়েছেন, চলতি বছর অতিরিক্ত দামে কন্দ জাতের পেঁয়াজের বীজ ক্রয় করতে হয়েছে। এছাড়া শ্রমিকের খরচ বৃদ্ধিসহ উৎপাদন খরচ বেড়েছে। এতে করে প্রতি কেজি নতুন পেঁয়াজ উৎপাদনে ২৫ টাকা খরচ হয়েছে। তবে বাজারে পেঁয়াজ ২৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যার কারণে লোকসান গুণতে হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হলে উৎপাদন মৌসুমে বিদেশি পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে বাজার তদারকির দাবি কৃষকদের।
পেঁয়াজের দর কমে যাওয়া নিয়ে স্থানীয় আড়তদাররা জানিয়েছেন, বাইরের দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির কারণে নতুন পেঁয়াজের চাহিদা কমেছে। এছাড়া কন্দ জাতের পেঁয়াজ সংরক্ষণ না হওয়ার করণে বাজারে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলসরূপ নতুন পেঁয়াজের দাম কমেছে।
গত মৌসুমে নাটোর জেলায় প্রায় ৮০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। এ দিকে স্থানীয় কৃষি বিভাগ চলতি মৌসুমে প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।