নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হানকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে নাটোর সদর আসনের সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুলের ভাগ্নে এবং সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা নাফিউল ইসলাম অন্তরের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে গতকাল নাটোর সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার এবং নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মীর আমিরুল ইসলাম জাহানের ছেলে অন্তর।
এজাহার সূত্রে পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার বিকেলে ঠিকাদারি কাজের মান নিয়ে মীর আমিরুল ইসলাম জাহানের সঙ্গে কথা বলায় প্রকৌশলীর ওপর চড়াও হন নাটোর পৌর সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল ইসলাম অন্তর। অফিসে ঢুকে কথা বলার এক পর্যায়ে প্রকৌশলী আবু রায়হানের শার্টের কলার ধরে অপর হাত দিয়ে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন নাফিউল ইসলাম অন্তর। এতে প্রকৌশলী আবু রায়হানের ঠোঁট কেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লাগে। পরে তাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপর গতকাল রাতে নাফিউলকে আসামি করে সরকারি কাজে বাধা এবং কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে নাটোর থানায় মামলা দায়ের করেন প্রকৌশলী আবু রায়হান। যার মামলা নং ৪১। ৩৫৩/৩৩২/৩৩৩/৪২৭/ও ৫০৬(২) ধারায় পেনাল কোড ১৮৬০ রজু করা হয়েছে।
এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভবনের টাইলস লাগানোর কাজ করছেন ঠিকাদার আমিরুল ইসলাম জাহান। সেখানে শিডিউল মোতাবেক মানসম্পন্ন টাইলস লাগাতে বললে ঠিকাদার তাতে অস্বীকৃতি জানায়। গতকাল এসব বিষয়ে অফিসে এসে কথা বলতে চায় ঠিকাদার। এ সময় অকথ্য ভাষায় আমাকে গালিগালাজ করতে থাকেন ঠিকাদার আমিরুল ইসলাম। গালিগালাজ না করে ভদ্রভাবে কথা বললে ঠিকাদারের ছেলে নাফিউল ইসলাম অন্তর উত্তেজিত হয়ে আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এতে আমার ঠোঁট কেটে যায় এবং হাত, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লাগে।
এব্যাপরে নাফিউল ইসলাম অন্তরের বাবা মীর আমিরুল ইসলাম জাহান জানান, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডে টেন্ডার নিয়ে অনেকে সমস্যা করত। এর থেকে বাঁচার জন্য তারাই আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায়। সে যাওয়ার পর থেকে আর কোনো সমস্যা হয়নি। আমার ছেলেকে তারা বিভিন্ন সময় কাজ দেওয়ার কথা বলেও নির্বাহী প্রকৌশলীর যোগসাজসে অন্যদের কাজ দিয়ে দিয়েছে। গতকালও কাজের কথা নিয়েই এক পর্যায়ে বাকবিতান্ড ও ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় নির্বাহী প্রকৌশলী ও আমার ছেলে দুজনই চেয়ার থেকে পরে যায়। সেখানে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ‘কর্তব্যরত অবস্থায় সরকারি কর্মকর্তার ওপর হামলায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সরকারি কাজে বাধা প্রদান, মারধর ও হত্যার হুমকির কথা উল্লেখ করে প্রকৌশলী আবু রায়হান মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।’
আরও দেখুন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ ………..চাঁপাইনবাবগঞ্জে রক্তদান সামাজিক সেবামূলক সংগঠন ‘রক্তের খোঁজে আমরা’র ২য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শুক্রবার …