নিজস্ব প্রতিবেদক,,,,,,,,,,,,,,,,নাটোরে এক শিশুর শ্লীলতাহানি এবং আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে কাজেম আলী এবং আতিকুর রহমান নামের দুইজনের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। আজ ১৯ জানুয়ারি রোববার বেলা ১১ টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে জরিমানার আদায়কৃত টাকা ভিকটিমের পিতা মাতা কে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত কাজেম আলী নাটোর সদর থানার মাঝদিঘা শিবপুর গ্রামের কাদের আলীর ছেলে এবং আতিকুর রহমান একই এলাকার আব্বাস আলীর ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় ২০০৫ সালের ২৮ মার্চ সকাল ৯ টার দিকে ১১ বছর বয়সী ভিকটিম তাদের ভেড়া পুকুর পাড়ে বাঁধতে যায়। এ সময় আসামি আতিকুর রহমানের পরামর্শে অপর কাজেম আলী ভিকটিমকে জাপটে ধরে। এ সময় ভিকটিম ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে কাজেমের হাত থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। তাকে জড়িয়ে ধরার কারণে বাড়িতে গিয়ে লজ্জায় কাউকে মুখ দেখাবে না বলে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে বাড়িতে রাখা কীটনাশক বিষ পান করে। এ সময় ভিকটিমের বাবা-মা দেখতে পেয়ে অসুস্থ অবস্থায় তাকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় পরের দিন ১৯ মার্চ শিশুটির বাবা বাদী হয়ে শ্রীলতাহানি এবং আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নাটোর জজ কোর্টের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের জানান, বাদীর অভিযোগের সূত্র ধরে সাক্ষী গ্রহণ এবং শুনানি অন্তে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসামিদের উপস্থিতিতে প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
তিনি আরো বলেন, এই রায় একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে কেউ এই ধরনের কর্মকান্ড করতে ভয় পাবে।