বিশেষ প্রতিবেদক:
নাটোরের নাটোর ও সিংড়া পৌরসভায় দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের তৃতীয় দিন চলছে। জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা কাহিনীর কঠোর অবস্থান সত্বেও শহর এলাকায় সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। কোন ভাবেই তা কমছে না। গতকাল শুক্রবার সকালে সিভিল সার্জন ডাঃ মিজানুর রহমান জানান গত ২৪ ঘন্টায় আজ ২৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৫ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩.৫৫%।
নাটোর সদর উপজেলার ২৮ জন, এর মধ্যে শহরের ১৮ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে নাটোর সদর হাসপাতালে মারা গেছেন এক নারী ও দুইজন পুরুষ। গত বৃহস্পতিবার ২৪ ঘন্টায় নাটোরে ১২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে ৬৬ জন আক্রান্ত ছিল। সংক্রমনের হার ছিল ৫১.৫০ শতাংশ। শহর এলাকায় ৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৮ জনের করোনা পজেটিভ রেজাল্ট পাওয়া গিয়েছিল। সংক্রমণের হার ছিল ৭০.৬৫ শতাংশ।
গত এক সপ্তাহে ১০০৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় ৪৪৯ জন করোনা পজিটিভ হন। পরীক্ষা বিবেচনায় সনাক্তের হার ৪৪.৭২%। এক সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ জন। তবে এতো সংখ্যক শনাক্ত হলেও এর মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আছে কিনা তা জানাতে পারেনি জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
এদিকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে নাটোর সদর হাসপাতালে শুক্রবার তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে জনমনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নাটোর সদর হাসপাতালে গত সপ্তাহে কোভিড ইউনিটে শয্যা সংখ্যা ৩০ থেকে ৫০ এ উন্নীত করেও হাসপাতালে রোগীর জায়গা হচ্ছেনা।
নাটোর সদর হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট, সিসিইউ. আইসিইউ, হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা নেই। নেই কাঙ্খিত জনবলও। রোগীর অবস্থা কিছুটা জটিল হলেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এভাবেই সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেতে থাকলে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।