নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোর থেকে অপহরনকৃত ভিকটিমকে সাতক্ষীরা জেলার সদর থানা এলাকা থেকে উদ্ধার ও অপহরণ চক্রের প্রধান আসামী বিল্লাল হোসেন (৩২) এবং তাসলিমা বেগম (৪৫) নামের ২ জনকে গ্রেফতার করছে র্যাব। গতকাল ১২ নভেম্বর রাত দেড়টার দিকে সিপিসি-১ সাতক্ষীরা র্যাব-৬ এর সহযোগিতায় সাতক্ষীরা সদরের শ্রীরামপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকা থেকে তাকে গ্ৰেফতার করা হয়। গ্ৰেফতারকৃত বিল্লাল হোসেন সাতক্ষীরা জেলা সদরের শ্রীরামপুর গ্রামের মানিক গাজীর ছেলে এবং তাসলিমা বেগম একই গ্রামের আমিনুল ইসলামের স্ত্রী।
র্যাব জানায়, ৬ নভেম্বর ভিকটিম তার বাবার বাড়ি নাটোর সদরের মল্লিকহাটি গ্রামে বেড়াতে আসে। ১০ নভেম্বর দুপুর একটার দিকে ভিকটিম তার বাবার প্রতিবেশীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হয়। বিকাল হয়ে গেলেও ভিকটিম বাড়িতে ফিরে না আসলে ভিকটিমের বাবা সম্ভব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও সন্ধান না পেয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে সদর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর থেকে সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প, র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি আভিযানিক দল কোম্পানী অধিনায়ক সঞ্জয় কুমার সরকার এর নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা আসামী সনাক্তকরনসহ অপহৃত ভিকটিম উদ্ধারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে।
গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামী ও অপহৃত ভিকটিমের অবস্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এরই প্রেক্ষিতে সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প, র্যাব-৫ একটি অপারেশন দল ১২ নভেম্বর রাত দেড়টার দিকে সাতক্ষীরা, র্যাব-৬ এর সহযোগিতায় সাতক্ষীরা জেলার সদরের শ্রীরামপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকা থেকে অপহরণ চক্রের মুলহোতা মোঃ বিল্লাল হোসেন এবং একই জেলার তালা থানার ইসলামকাঠি বাইখোলা গ্রাম থেকে তাসলিমা বেগমকে গ্রেফতার করে এবং তার হেফাজত হতে অপহৃত ভিকটিমকে মামলা রুজুর ১২ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার করে। উপরোক্ত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাটোর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।