কামাল মৃধা, নাটোর:
নাটোর শহরের জংলী এলাকায় নাটোর সুগারমিল ও লালপুর উপজেলার নর্থবেঙ্গল সুগার মিলে উৎপাদিত চিটাগুড় বিক্রি করে চলতি অর্থ বছরে প্রায় ৮ কোটি টাকা অধিক আয় করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন। আর এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র সিন্ডিকেট ভাঙ্গার কারণে। এ ব্যাপারে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান- এমনই দাবী মিল কর্তৃপক্ষের।
সাধারণত এই চিটাগুড় বা মলাসেস গো-খাদ্য, ডিসটিলারী, মাছেরখাদ্য ও স্টিলমিলে ব্যাবহারের পাশাপাশি স্পিরিট তৈরীতেও ব্যাবহৃত হয়। এর বাইরে বর্তমানে হ্যান্ডস্যানিটার তৈরীতেও ব্যাবহার হচ্ছে এই মোলাসেস এমনই দাবী মিল কর্তৃপক্ষের। নাটোর সুগারমিলের জিএম রফিকুল ইসলাম ও নর্থবেঙ্গল সুগারমিলের এমডি হুমায়ুন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নর্থবেঙ্গল সুগারমিলের এমডি হুমায়ুন কবীর জানান, চলতি অর্থ বছরে মোলাসেস উৎপাদিত হয়েছে ৯ হাজার ১ শ ৭০ টন। বেশ কয়েক ধাপে টেন্ডারের মাধ্যমে এই গুর বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে আরো মজুদ রয়েছে ৪ হাজার ৭ শ ৫০ টন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবী করেন, গত অর্থ বছরে এই মোলাসেস বিক্রি হয়েছে ১১ হাজার ৭ শ ১১ টাকা টন।
বর্তমান চেয়ারম্যান সনত কুমার সাহা দায়িত্ব গ্রহণের পর জানান, এই চিটাগুড় উৎপাদনের একমাত্র জায়গা সুগারমিল। এক্ষেত্রে কোন বিকল্প উৎপদাক না থাকায় বাজারের চেয়ে কমদামে গুর বিক্রির বিপক্ষে অবস্থান নেন তিনি। নিয়মিত বাজার দর মনিটোরিং ও টেন্ডার আহ্বান করে উপযুক্ত দাম না পেলে তিনি পূণটেন্ডার দেন। এভাবে ব্যাবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে ওই মোলাসেসের দাম উঠেছে এখন ২২ হাজার ১ শ ৪৭ টাকা টন। এ কারণে এখন পর্যন্ত মিলের গুড় বিক্রি করে গত অর্থ বছরের তুলনায় প্রায় ৩ কোটি টাকা অধিক আয় হয়েছে।
নাটোর সুগারমিলের জিএম রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এখন পর্যন্ত মিলে উৎপাদিত মোলাসেসের মধ্যে মাত্র ৫০-৬০ টন মজুদ রয়েছে। বিক্রি হওয়া মোলাসেসে গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৫ কোটি টাকা অধিক আয় হয়েছে।