নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেলের মনোনয়ন প্রত্যাহারের ঘোষণা। আজ সকালে তিনি এই ঘোষণা দেন। এর আগে গতকাল ২০ এপ্রিল উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরী সভায় তাকে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়।
সেই সঙ্গে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে “কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না” মর্মে ২২ এপ্রিলের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। আজ ২১ এপ্রিল রোববার দুপুরে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে লুৎফুল হাবিব রুবেল এর পক্ষে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন।
প্রত্যাহার আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আমি মো. লুৎফুল হাবীব সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন- ২০২৪ইং এ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করি। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক কারণে আমার নির্বাচন করা সম্ভব নয়। অতএব, বিধায় প্রার্থনা এমতাবস্থায় আমার জমাকৃত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের মনোনয়ন পত্রটি প্রত্যাহার পূর্বক আমাকে উক্ত নির্বাচন হতে সরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিতে মর্জি হয়।
জেলা রিটার্নিং অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ এই মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। উল্লেখ্য গত ১৬ এপ্রিল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অপর প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ এবং মারধর করে তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার পার সাঐল এর বাড়িতে ফেলে রাখা ফেলে রেখে আসা হয়। এই ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন বাসার বড়ভাই মজিবর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে প্রথমে সানোয়ার হোসেন সুমন এবং নাজমুল হোসেন বাবুকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে সানোয়ার হোসেন সুমন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে লুৎফুল হাবিব রুবেলের পক্ষে এই অপহরণ এবং মারধরের কথা স্বীকার করে। গত ১৯ এপ্রিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত দেলোয়ার হোসেন পাশাকে দেখতে গিয়ে ডাক তার তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি তার শ্যালক উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবিব রুবেলকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।
লুৎফুল হাবিব রুবেল জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং দলের নেতৃবৃন্দের গৃহীত পদক্ষেপের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। এর পরবর্তীতে দল যা সিদ্ধান্ত নিবে তাও তিনি মাথা পেতে নেবেন বলে ঘোষণা দেন। সেইসঙ্গে ১৬ এপ্রিল দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ এবং মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান মন্ত্রীর শ্যালক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এমন একটি নাটক সাজানো হয়েছে।