নিজস্ব প্রতিবেদক,লালপুর:
সরকারী নিয়ম তোয়াক্কা না করে ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়ায় এবং স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলায় নাটোরের লালপুরে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটা। ফলে দিন দিন জমির পরিমাণ ও মাটির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। এতে ফসলি জমি হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।
আর বিভিন্ন প্রজাতের ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ইটভাটা গুলোতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে ফলজ ও বনজ গাছ উজাড় হয়ে যাচ্ছে। আর ইটভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ে পড়ছে। এছাড়া শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষেরা স্বাশ কষ্ট সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর ইটভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছে স্থানীয়রা। পদ্মা নদীর চর এলাকা সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও লোকালয়ে প্রায় ৩২ টি অবৈধ ইটভাটা আছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় প্রশাসনের অবহেলায় যত্র—তত্র ভাবে এসব ইটভাটা গড়ে উঠেছে বলে জানা গেছে। এসব ইটভাটা গুলোতে এবং ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার অভিযান চোখে পড়ে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। মতামত,লালপুরের কৃষক বাদশা নওশেদ নেওয়াজ লিটন বলেন, ইটভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে রবি শস্য সহ আমের মুকুলের অনেক ক্ষতি হয়। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, ইটভাটার কারণে দিন দিন জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এতে ফসলি জমি হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। অবৈধ ইটভাটার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন, বিষয়টি দেখছি।