নিজস্ব প্রতিবেদক,লালপুরঃ
নাটোরের লালপুরে করোনা ভাইরাসকে পূজি করে এক শ্রেনীর অসাধু চাউল ব্যবসায়ীরা দফায় দফায় চাউলের দাম বৃদ্ধি করে যাচ্ছে । উপজেলা প্রশাসনের বাজারে মনিটরিং থাকলেও আসাধু চাউল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা । এতে প্রকাশে বেশি দামে চাউল বিক্রয় করে যাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
এ কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে । সরজমিনে , গোপালপুর বাজারের চাউল ব্যবসায়ী চান্দু মিয়ার চাউলের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, গুটি শরনা ও আঠাশ চাউল ৫০ কেজি চাউলের প্রতি বস্তা ১ সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ৪শত টাকা বেশি দামে বিক্রয় করছে । ১ সপ্তাহ আগে ৫০কেজির প্রতি বস্তা গুটি শরনা চাউলের দাম ছিলো ১৬শত টাকা , যা বর্তমান মূল্য ১৯শত থেকে ২হাজার টাকা , আঠাশ চাউল এক সপ্তাহ আগে ৫০ কেজি চাউলের দাম প্রতি বস্তা ১৮শত টাকা ছিলো, যার বর্তমান মূল্য ২১ শত থেকে ২২ শত টাকায় বিক্রয় হচ্ছে ।
এছাড়া মিনিকেট, বাসমতী,কালো জিরা, কাজলতা সহ বিভিন্ন প্রকারের চাউলের দাম প্রতি কেজিতে ৪-৫ টাকা বেশি দামে বিক্রয় করা হচ্ছে । এছাড়া উপজেলা প্রশাসন একজন ব্যক্তির নিকট ১ বস্তা চাউল বিক্রয় করার নির্দেশ থাকলেও তা মানছেনা অসাধু ব্যবসায়ীরা । এবিষয়ে চাউল ব্যবসায়ী চান্দু মিয়া বলেন, আমরা দোকানে অনেক চাউল আছে । চাউলের ঘারতী হবেনা । তিনি আরো বলেন ১সপ্তাহ আগের চেয়ে এখন একটু বেশি দামে বিক্রয় করছি ।
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, আমরা বাজারের মনিটরিং করে যাচ্ছি । ব্যবসায়ীরা চা্উলেল মূল্য বেশি করলে আমরা কি করবো । তিনি পরে বলেন যে সকল ব্যবসায়ীরা চাউল বেশি দামে বিক্রয় করছে , তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ।