শুক্রবার , এপ্রিল ১৯ ২০২৪
নীড় পাতা / আইন-আদালত / নাটোরের বড়াইগ্রামে ডাকাতি মামলায় ৭ ডাকাত গ্রেফতার

নাটোরের বড়াইগ্রামে ডাকাতি মামলায় ৭ ডাকাত গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বড়াইগ্রাম
নাটোরের বড়াইগ্রামে ডাকাতি মামলায় ডাকাতির সরঞ্জামসহ ৭ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার জেলার লালপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে বুধবার এক প্রেস ব্রিফিং এ জানান, নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। গ্রেফতারকৃতরা হলেন বড়াইগ্রাম উপজেলার মকিমপুর গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে আতাহার আলী, লালপুর উপজেলার কদমচিলান গ্রামের মৃত মেহের আলী মন্ডলের ছেলে কামরুল ইসলাম, মৃত মাজেম আলীর মোল্লার ছেলে মোঃ শহিদ, মৃত নাজির মন্ডলের ছেলে আজাদুল ইসলাম ও আমজাদ হোসেনর ছেলে মিনারুল ইসলাম এবং কদমচিলান মধ্যপাড়া গ্রামের সোবহান মন্ডলের ছেলে খাইরুল বাশার ওরফে সুমন ও আবুল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ও বড়াইগ্রাম সার্কেলের সহকারী পুলশ সুপার হারুন-অর রশিদ জানান, গত ৭ আগস্ট দিবাগত রাতে ৮/৯ জন ডাকাতের একটি সংঘবদ্ধ দল বড়াইগ্রাম উপজেলার কয়েনবাজার এলাকার ইজহারুল ইসলামের বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়ির লোকজনকে মারপিট করে নগদ ৩০ হাজার টাকা ও ৬ ভরি স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত কাজ শুরু করে। ৮ আগস্ট পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় ৯ আগস্ট বড়াইগ্রাম থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করা হয়। পরে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বড়াইগ্রাম উপজেলার মকিমপুর গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে আতাহার আলীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্য মতে ঘটনার সাথে জড়িত লালপুর উপজেলার কদমচিলান গ্রামের কামরুল ইসলাম, মোঃ শহিদ, আজাদুল ইসলাম ও মিনারুল ইসলাম এবং কদমচিলান মধ্যপাড়া গ্রামের খাইরুল বাশার ওরফে সুমন ও জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায় যে, তারা গত ৭ আগস্ট রাতে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে একত্রিত হয়ে উপজেলার কয়েনবাজার এলাকার ইজহারুল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ডাকাতি সংঘটিত করার পর পুনরায় জাহাঙ্গীরের বাড়িতে গিয়ে ডাকাতির টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। পরে স্বর্ণালংকার বিক্রি করে সে অর্থও ভাগাভাগি করে নেয়।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বুধবার দুপুরে তার কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিং-এ এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত মোট ৮ জন ডাকাত জড়িত ছিল। তার মধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর জনকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরও দেখুন

প্রতিমন্ত্রী পলক তার শ্যালক রুবেলকে নির্দেশ দিলেন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের 

নিজস্ব প্রতিবেদক: সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলেন ডাক তার টেলিযোগাযোগ …